|
|
|
|
দেহদানে এগিয়ে আসুন সাংসদরা, উদ্যোগী ডেরেক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক = চৌত্রিশ।
গণিত বা পদার্থবিদ্যার সূত্র নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের নিদান!
মস্তিষ্কের মৃত্যু বা ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছে, এমন এক ব্যক্তির দেহের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নতুন জীবন পেতে পারেন নয়-নয় করে প্রায় ৩৪ জন। অথচ ১২০ কোটির ভারতে গত এক বছরে স্বেচ্ছায় মৃত ব্যক্তির অঙ্গ দানে এগিয়ে এসেছে মাত্র ২০০টি পরিবার।
এই নেতিবাচক চিত্রটি বদলাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর দেহদানের কথা উল্লেখ করে আজ সাংসদদের দেহদানে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তত একশো জন সাংসদের সম্মতি আদায় করা আমার লক্ষ্য।”
চিকিৎসকদের মতে, কোনও ব্যক্তিকে ব্রেন ডেড হিসাবে ঘোষণা করার পর তাঁর শরীর থেকে প্রায় ৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগ্রহ করা সম্ভব। যা দিয়ে নতুন জীবন পেতে পারেন সমসংখ্যক ব্যক্তি। সম্প্রতি ‘শিপ অফ থিসিয়ুস’ ছবিটির সূত্রে অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে আলোচনা নতুন করে গতি পেয়েছে। ভারতে সাধারণত প্রতি বছর স্ট্রোক বা মাথায় আঘাতের কারণে এক লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও অঙ্গদানে ইচ্ছুক পরিবার প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না বলে ডাক্তারদের মত।
এ দিন রাজ্যসভায় ডেরেক বলেন, “অবস্থা বদলানোর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। ওই অভিযান শুরু হোক সংসদ থেকেই।” ইদানীং জমি বা খাদ্য বিল কিংবা পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে প্রায়ই সহাবস্থান নিচ্ছে সিপিএম-তৃণমূল। আজও ডেরেকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর কথায়, “এই পদক্ষেপ স্বাগত। সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু থেকে সমর মুখোপাধ্যায় সকলে দেহ দান করেছেন।” ডেরেকের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় কংগ্রেস, বিজেপি-সহ অন্যান্য দলও। সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পি জি ক্যুরিয়েন মনে করিয়ে দেন, তিনি ইতিমধ্যেই দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। |
|
|
|
|
|