এ বার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রবীণ সিপিআই নেতা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র হরিসাধন ঘোষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনএইচপিসি বাংলোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এ’কথা জানান হরিসাধনবাবু নিজেই। সব কিছু ঠিক থাকলে বুধবার সকালেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা। প্রবীণ এই সিপিআই নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল স্তরে সংগঠন আরও শক্তিশালী হল বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ
হরিসাধন ঘোষ।
—নিজস্ব চিত্র। |
উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আরও চমক অপেক্ষা করে আছে। আরও অনেক নেতা-কর্মী অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন।”
এ দিন হরিসাধনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। দলে যোগ দিয়েই যা বলার বলব।” দু’দিন আগেই কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরানোর পরে এবার বামপন্থী দলগুলির দিকে হাত বাড়াল তৃণমূল। হরিসাধনবাবু দলে যোগ দেওয়ায় আরও কিছু বামপন্থী দল থেকে বেশ কয়েকজন নেতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার রাস্তা পরিস্কার হল বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৯৮৯ সালে প্রথম ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিআইয়ের হয়ে দাঁড়ান ও জিতে কাউন্সিলর হন। নিজের কাউন্সিলর পদে থাকাকালীন সময়ে সাড়ে ১১ বছরই তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন। লাগাতার জেতার পর প্রথমবার নিজের ওয়ার্ডেই হারেন ২০০৪ সালে নান্টু পালের কাছে। এরপর ২০০৯ দলের পক্ষ থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁকে। তাঁর বদলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর স্ত্রীকে টিকিট দেয় দল। যদিও হরিসাধনবাবুর স্ত্রী হেরে যান কংগ্রেসের গঙ্গোত্রী দত্তের কাছে।
এর পর দীর্ঘ চার বছর তাঁকে সিপিআইয়ের হয়ে কোথাও দেখা যায়নি। দলের সদস্য পদও খারিজ হয়ে যায় তাঁর। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “উনি বেশ কয়েক বছর ধরে সিপিআইয়ের সদস্য নন বলে জানি। আগামী দিনেই বুঝতে পারবেন উনি কি করলেন!” তা ছাড়া ওঁর ওই দলত্যাগে শিলিগুড়ির বামপন্থী রাজনীতি এবং আন্দোলনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে অশোকবাবুর দাবি। পাশাপাশি সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, “তিন বছর ধরে উনি দলের সদস্য নন। সুতরাং তাঁর থাকা-না থাকায় কিছু যায় আসে না।” |