বাজারে মাছের জোগান বাড়াতে জেলার কৃষি খামারগুলিতে পড়ে থাকা জলাশয়ে এ বার মাছ চাষে উদ্যোগী হল কৃষি দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৎস দফতরের সহায়তায় এ বার কৃষি দফতর রুই, কাতলা, মৃগেলের চাষে নামছে। পুঁটি কিংবা মৌরলা মাছও একেবারে ব্রাত্য নয় সরকারি দৃষ্টি থেকে। তবে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে বেশিরভাগ পুকুরে আপাতত তারা রুই, কাতলার চাষ করবে। |
চলছে মাছের চারা ছাড়া। হুড়ায়।— নিজস্ব চিত্র |
পুরুলিয়া জেলার ২০টি ব্লকে কৃষি খামার থাকলেও ১৩টি ব্লকের খামারে জলাশয় রয়েছে। জেলায় এমন জলাশয়ের সংখ্যা মোট ২৪টি। জলাভূমির মোট পরিমাণ ৪৭ একরেরও বেশি। ওই জলাশয়গুলিতে এত দিন সে ভাবে মাছ চাষ হত না। পুরুলিয়ার কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা দিব্যেন্দু দাস বলেন, “এতদিন এই পুকরগুলি কোথাও চুক্তিতে দেওয়া ছিল। কোথাও পড়েছিল। এ বার আমরা পুকুরগুলি পরিষ্কার করে মাছচাষের কাজে লাগাচ্ছি।”
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিম পোনা ছাড়ার কাজও শুরু করে দিয়েছে দফতর। দিব্যেন্দুবাবু জানান, ২২টি পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেল এবং দু’টি পুকুরে ছোট মাছ ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বর্ষার মধ্যে ডিম পোনা ছাড়ার কাজ শেষ করতে হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। জেলা মৎস আধিকারিক দীপককুমার মাজি বলেন, “আমরা কৃষি দফতরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করছি। এই জেলায় বছরের যে সময়টা পুকুরে জল থাকে, তার মধ্যেই রুই, কাতলা, মৃগেলের চাষ ভালো হবে।” মৎস দফতরের আশা নিজেদের জলাশয়ে মাছ চাষ করে লাভের মুখই দেখবে কৃষি দফতর। তবে কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “শুধু দফতরের লাভই নয়, জেলার মানুষ যাতে বাজারে টাটকা ভালো মাছ পান তাও আমাদের লক্ষ্য।” |