অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে আমানতাকারীদের প্রতারণা করার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়া জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখা (ডিইবি)। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানা এলাকার বাগিচা গ্রামের বাসিন্দা অমৃত মাজি নামে ওই ব্যক্তিকে সম্প্রতি হুগলির ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করে ডিইবি। আদালতে তোলার পরে ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে প্রতারণায় যুক্ত অন্যদের সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ এবং ডিইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর মার্চ মাসে রঘুনাথপুরের গদিবেড়ো গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার কৈবর্ত রঘুনাথপুর থানায় অমৃত মাজি-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে আমানতকারীদের সঙ্গে আর্তিক প্রতারণা করার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করার পরে বিষয়টি যায় জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখায়। তদন্তে নেমে সম্প্রতি ডানকুনি থেকে অমৃতকে ধরা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অমৃত-সহ বাকি অভিযুক্তেরা প্রথমে একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। পরে পর্যায়ক্রমে তাঁরা দু’টি অর্থলগ্নি সংস্থা খোলেন। সংস্থা দু’টির অফিস ছিল রঘুনাথপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড ও ব্লকডাঙ্গা এলাকায়। অন্য অনেক বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার মতোই জমা টাকার উপরে মোটা অঙ্কের সুদ দেওয়া বা কম সময়ে আমানত করা অর্থ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অমৃতরা আমানতকারীদের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, কমপক্ষে ১০-১২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে অভিযুক্তেরা।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বিমা সংস্থায় কাজ করার সময়ে সেখানকার আমানতকারীদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়ে সেই টাকায় প্রথমে অর্থলগ্নি সংস্থা খুলেছিলেন অভিযুক্তেরা। সেই সংস্থায় অর্থ লগ্নি করেন অনেক সাধারণ গ্রাহক। পরে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সময়ে সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে ফের নতুন সংস্থা খোলেন অভিযুক্তেরা। এ ক্ষেত্রেও আমানতকারীরা মেয়াদ ফুরনোর পরে প্রতিশ্রুত অর্থ পাননি। দ্বিতীয় সংস্থাটিও বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন অমৃত-সহ অভিযুক্তেরা। পুলিশের ওই কর্তার কথায়, “অমৃত মাজি দু’টি সংস্থারই পরিচালন সমিতির সদস্য ছিল। তাঁকে জেরা করে প্রতারণার পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু তথ্য মিলেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে।” |