ইস্তফাপত্র দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূল প্রধান। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সদ্য নির্বাচিত বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তৃণমূলের শ্রীদাম মণ্ডল। মঙ্গলবার বাসন্তী ব্লক অফিসে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ইস্তফাপত্র নিয়ে শুনানি ছিল। এ দিন বিডিওর কাছে গিয়ে সেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শ্রীদামবাবু। বিডিও কওসার আলি বলেন, “কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এ দিন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমি তাঁর আবেদন পত্র গ্রহণ করেছি। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
গত ১৬ অগস্ট বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্যের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্রীদাম মণ্ডল। আগে থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল, অসিত পিল্লাইকে প্রধান করা হবে। কিন্তু দলীয় সদস্যদের বুঝিয়ে ভোটাভুটিতে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্রীদাম মণ্ডল। ভোটাভুটিতে হেরে যান অসিতবাবু। দলের একাংশ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং দলীয় নেতৃত্বের কাছে শ্রীদামকে প্রধানের পদ থেকে অপসারণ এবং দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কারের দাবি জানান। দলীয় বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর এবং ব্লক নেতৃত্বও শ্রীদামকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন। এই ঘটনার পর থেকেই প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেন শ্রীদাম মণ্ডল। কিন্তু তারপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে অনুরোধ আসতে থাকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। অনুগামীদের বারংবার অনুরোধে এ দিন বিডিওর কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
কেন ইস্তফা দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি? শ্রীদাম মণ্ডল বলেন, “মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। দলের চাপে ইস্তফা দিয়েছিলাম। কিন্তু দলের বিজয়ী ও বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যরা আমাকে প্রধান হিসেবে সমর্থন করেছিলেন। তাঁদের অনুরোধেই আবার আমার ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করার আবেদন জানালাম।”
কিন্তু দল তাঁর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করছে কি? বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি মান্নান শেখ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, “শ্রীদাম মণ্ডল দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অন্যান্য সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে প্রধান হয়েছে। আমরা ওর বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেব এবং জেলা নেতৃত্বের কাছে ওকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করব।” |