অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে ঘূর্ণির মৃত্শিল্পীদের। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির ‘ওল্ড পটারি’র ২.৭৮ একর জমিতে তৈরি হতে চলেছে উন্নত মানের ‘আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টার’। সংগ্রহশালার পাশাপাশি এটিকে বিপণণ কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হবে। দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর প্রকল্পটির জন্য ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক সৈকত দত্ত বলেন, “ ‘ডাইরেক্টর অব ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর অধীনে থাকা এই জমি পর্যটন দফতরকে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উপকৃত হবেন শিল্পীরা।”
|
কী থাকবে এই আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সেন্টারে? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, শিল্পীদের জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্মগুলির অনুরূপ এখানে সংরক্ষিত থাকবে। শিল্পীদের তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রির জন্য থাকবে ‘লাইভ গ্যালারি’। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্ট কলেজের উত্সাহী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
পৃথিবী বিখ্যাত এই ঘূর্ণির মৃত্শিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন। ১৯৫১ সালে লন্ডনে ‘এক্সিবিশন অব দ্য ওয়ার্কস অব ইন্ডাস্ট্রিজ অব অল নেশনস’ প্রদর্শনীতে ঘূর্ণির শিল্পী রাম পালের শিল্পকর্ম স্থান পায়। সেই শুরু। বংশপরম্পরায় ঘূর্ণির শিল্পীরা শিল্প উত্কর্ষতার মাধ্যমে কৃষ্ণনগরের এই ছোট জনপদটিকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি দিয়েছে। কিন্তু শিল্পের এই উত্কর্ষতা তাঁদের আর্থিক সচ্ছলতা দেয়নি কোনও দিনই। ঘূর্ণিতে তাই সংগ্রহশালা ও বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার সংবাদ পেয়ে খুশি স্থানীয় শিল্পীরা। সদ্য গঠিত ‘কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র সভাপতি মৃগাঙ্ক পাল বলেন, “অনেক দিন ধরেই নানা প্রকল্পের কথা শুনে আসছি। শেষ পর্যন্ত এটি বাস্তবায়িত হতে চলেছে, তাতে আমরা খুশি।” জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, “এটি রাজ্যের প্রকল্প। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।” |