ত্রাণ নিয়ে দলাদলির অভিযোগ
ন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিলি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল জেলা বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ, তৃণমূলী সন্ত্রাসে ঘরছাড়া দলীয় সমর্থকদের ঘরে ফেরানো-সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেয় বামেরা। এ দিন জেলা বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা, প্রশান্ত প্রধান, নিরঞ্জন সিহি, সিপিআই জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন ঘড়া, আরএসপি জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতি, ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক গোপাল মাইতি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানার অভিযোগ, “কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া, তমলুক, নন্দকুমার ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই সব বন্যা কবলিত গ্রামগুলিতে ত্রাণ বিলি নিয়ে দলাদলি করা হচ্ছে। বেছে বেছে তৃণমূলের লোকজনের মাধ্যমে ত্রাণ বিলি হচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে ত্রাণ বিলি হচ্ছে। অথচ যে সব এলাকায় পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা রয়েছেন তাঁদের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ বিলি হচ্ছে না।”
জেলাশাসকের দ্বারস্থ বামফ্রন্ট নেতারা। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
নির্মলবাবুর দাবি, বন্যা দুর্গত এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে সর্বদলীয় কমিটি গড়ে সরকারি ত্রাণ বিলি করতে হবে। ধান, পান, ফুল চাষিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ইন্দিরা আবাস যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করতে হবে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকার জল নিষ্কাশনের জন্য শঙ্করআড়া, গঙ্গাখালি ও পায়রাটুঙ্গি খাল সংস্কারেরও দাবিও জানায় বামেরা। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় বামফ্রন্ট ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করে। জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্বের অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ২০০৭ সাল থেকে তৃণমূলের আক্রমণে দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া। দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এক হাজারেরও বেশি মিথ্যা মামলা চলছে। এখনও নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লকে ১৭৯৮ জন, খেজুরি ১ ও ২ ব্লকে ৪৫০ জন, মারিশদা ব্লকে ২৪১ জন, দেশপ্রাণ ব্লকে ১০০ জন ও ভগবানপুর ২ ব্লকে ৪৫ জন দলীয় নেতা কর্মী ঘরছাড়া।
ত্রাণ বিলিতে দলাদলির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “সরকারি ত্রাণ পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই বিলি হচ্ছে। যদি কোথাও কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের উদ্যোগে চাল বিলি করে থাকলে সে নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো ও বামেদের অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “এইসব বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।” অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “সরকারি ত্রাণ বিলি নিয়ে দলাদলি বাম আমলেই হত। একের পর এক নির্বাচনে জনসমর্থন হারিয়ে বামেরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.