যত্রতত্র জঞ্জাল থাকলেও সাফাইকর্মীর দেখা নেই। এই অভিযোগ ইসমালপুর শহরের বাসিন্দাদের। জমা জঞ্জালে দূষণ ছড়াতে শুরু করেছে। শহরের কিছু এলাকায় জঞ্জাল সাফাই হলেও, সেই জঞ্জাল শহরের বিভিন্ন এলাকাতে জড়ো করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুরকর্তাদের এ বিষয়ে হেলদোল নেই বলে একাংশ বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইসলামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন অর্পিতা দত্ত বলেন, “সাফাই কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে ঠিকই। সাফাইয়ের কাজে নজরদারি চালানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে। লোকালয়ে যাতে জঞ্জাল না ফেলা হয় তাও দেখতে বলা হয়েছে।” |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা উদ্যোগ নিলে কিছু দিনের জন্য শহরের রাস্তায় সাফাইকর্মীদের বাঁশি বাজিয়ে ময়লা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। দু’এক সপ্তাহ পরেই আবার ছবিটি বদলে যায় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ যথাযথ না হওয়ায় শহরের নিকাশি নালাগুলি ভরাট হয়ে যেতে শুরু করেছে। যার জেরে দু’এক পশলা বৃষ্টি হলেই নর্দমার জল উপচে পড়ে রাস্তা ভাসিয়ে দিচ্ছে। পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। সব ওয়ার্ডেই ছোট ও মাঝারি জঞ্জালের ডাঁই তৈরি হয়েছে। বাড়ি থেকে নিয়মিত ময়লা সংগ্রহ না হওয়ায় অনেক বাসিন্দাই জমানো ময়লা রাস্তার পাশে ছুড়ে ফেলছেন বলে অভিযোগ। জঞ্জালের জন্য পথ চলায় সমস্যা, দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি মশার-মাছির উপদ্রবও খুব বেড়ে গিয়েছে শহরে। পুরসভা সূত্রে খবর, জঞ্জাল ফেলার জন্য শহরের বাইরে ভাগাড় রয়েছে। ভাগাড়ে ময়লা নিয়ে যেতে পুরসভার তিনটি ট্রাক ও ট্রাক্টর আছে। অল্প ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলিও রয়েছে। ব্যবস্থা থাকলেও জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। ওষুধ ব্যবসায়ী দেবাশিস দাস বলেন, “তিনপুল এলাকায় রাস্তার পাশে জঞ্জাল ফেলা হয়। এই শহরের বেশিরভাগ এলাকায় নিয়মিত সাফাই কাজ হয় না। যার ফলে রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে। পুরসভার উচিত শহরের সাফাই কাজে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া।”
|
বাসিন্দাদের অভিযোগ |
• নিয়মিত বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হয় না। বাসিন্দারা পথেই তা ফেলে রাখছেন।
• বাঁশি বাজিয়ে ময়লা তোলার কথা থাকলেও প্রায়ই সাফাইকর্মীদের পাত্তাই পাওয়া যায় না।
• সাফাই যথাযথ না হওয়ায় নিকাশি নালাগুলি ক্রমশ ভরাট হচ্ছে।
• মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে।
• পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। |
|