এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসকদের জানান, তাঁর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। চিকিৎসকেরাই তিলজলা থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই মহিলার বয়ান নিতে হাসপাতালে যায়। পুলিশের দাবি, বছর পঁচিশের ওই মহিলা পুলিশকে জানান, দু’জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছে।
ওই মহিলার স্বামী পুলিশকে জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পেটকাটা বিনোদ, লালবাবু এবং মধু নামে তিন যুবক তাঁদের বাড়িতে আসে। খাওয়া দাওয়া করে একসঙ্গে। মহিলার স্বামীর অভিযোগ, এর পরে ওই দুষ্কৃতীদের এক জন তাঁকে একটি ঘরে আটকে দেয়। তার পরে দু’জনে মিলে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তিনি পুলিশকে আরও জানান, প্রায় রাত ২টো পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীর উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানোর পরে দুষ্কৃতীরা চলে যায়।
পুলিশ জানায়, মহিলার বয়ান অনুযায়ী একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে পেটকাটা বিনোদ। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তবে ঘটনাটি ঘটার পরেই কেন পুলিশকে জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রাথমিক ভাবে ওই মহিলার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সত্যিই ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা জানার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা হবে।
পুলিশ জানায়, লালবাবুর বিরুদ্ধে একাধিক বার থানায় বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে। কয়েক বার ধরাও পড়েছিল সে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার স্বামী ইমারতি সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসা করেন। তাঁর বিরুদ্ধেও থানায় অভিযোগ রয়েছে। তিনিও এক বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলার স্বামী লালবাবুর কাছ থেকে টাকা পেতেন। সেই সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা কি না, দেখছে পুলিশ।
|