খালে গাড়ি পড়ে জখম ১
নিজস্ব সংবাদদাতা |
চলন্ত গাড়ির সামনে এসে গিয়েছিল একটি ছাগল। চালক আচমকা গাড়ি থামাতেই ঘটল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা খালে গিয়ে পড়ল গাড়ি। মঙ্গলবার, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার বাসন্তী হাইওয়েতে। জখম হয়েছেন চালক। পুলিশ জানায়, প্রসেনজিৎ বেরা নামে এক তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থেকে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সামনে একটি ছাগল এসে পড়ায় গাড়িটি থামাতে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। আশপাশের লোক এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। দমকল ও পুলিশ আধ ঘণ্টার চেষ্টায় গাড়িটি তোলে। প্রসেনজিৎবাবু হাসপাতালে ভর্তি। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ। এ দিনই বাসন্তী হাইওয়েতে একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। কলকাতাগামী বাসটি সামনের গাড়িকে পাশ কাটাতে চেষ্টা করছিল। তাতেই বিপত্তি। বাসের পাঁচ যাত্রী জখম হন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ক্লাবের ঘরে মঙ্গলবার আগুন লাগে। পুরসভা সূত্রের খবর, ঘরের এসি থেকেই এই বিপত্তি। আতঙ্ক ছড়ায় কর্মীদের মধ্যে। দমকল আসার আগে কর্মীরাই আগুন নেভানোর গ্যাস নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু করেন। পরে দমকল এসে ওই এসি মেশিনটি সরায়। পুর সচিবালয় সূত্রের খবর, ওই ঘরটি বিজেপি কাউন্সিলরদের জন্য বরাদ্দ। এ দিন ঘটনার সময়ে সেখানে কেউ ছিলেন না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, ফাঁকা ঘরে এসি চলছিল কেন। পুরসভার কেয়ারটেকার এর কোনও উত্তর দিতে পারেননি। এক পদস্থ অফিসার জানান, ওই এসি মেশিনটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন এসি লাগানো হবে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।”
|
নেট ব্যাঙ্কিং করার সময়ে একটি ই-মেল এসেছিল বেসরকারি এক সংস্থার মালিক সন্দীপ গোয়েলের কাছে। মেল খুলে তিনি ‘ব্ল্যাঙ্ক অ্যাটাচমেন্ট’ পান। এর পরেই তাঁর মোবাইলে ব্যাঙ্ক থেকে একের পর এক এসএমএস আসতে থাকে। সেগুলি পড়ে জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৭৪ লক্ষ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ‘ট্রান্সফার’ হয়ে গিয়েছে। গত শনিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সন্দীপবাবু। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানায়, নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে জালিয়াতির ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু গ্রাহকদের সচেতন করা যাচ্ছে না। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, “টাকার অঙ্কটা অনেক বেশি। জালিয়াতদের খোঁজ চলছে।”
|
নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। সোমবার, গড়ফা থানার নস্করপাড়া থেকে। ধৃত মনোজ সাউ বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ঢাকুরিয়া এলাকায় মিস্ত্রির কাজ করত সে। নস্করপাড়ার একটি বাড়িতে এসি খারাপ হওয়ায় ডাক পড়ে তার। অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী অন্যত্র যেতেই তাঁর আট বছরের মেয়ের সঙ্গে মনোজ অশালীন আচরণ করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা পড়ে মনোজ। তাকে এ দিন আদালতে তোলা হয়।
|
বন্ধ দোকানের তালা ভেঙে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হল চার যুবক। সোমবার রাতে, দক্ষিণ সিঁথি রোডে। ধৃতদের নাম সুখদেব রবি, আসগার সর্দার, ছোটু সর্দার এবং নীরজ সাউ। এর মধ্যে আসগার ও ছোটু পাইকপাড়ার, সুখদেবের দমদমের এবং নীরজ বরাহনগরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা ওই দোকান থেকে একটি মোবাইল, প্রায় ৩০০ গ্রাম ওজনের রুপোর গয়না ও দু’হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। উদ্ধার হয়েছে লুঠ হওয়া সমস্ত জিনিস ও টাকা। দোকান মালিক পুলিশকে জানান, ওই রাতে দুষ্কৃতীরা সদর দরজা ভেঙে তাঁর দোকানে ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে লুঠপাট চালায়। এর পরে তিনি সিঁথি থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই ওই চার দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়।
|
এক মহিলাকে হুমকি, গালিগালাজ ও পিছু ধাওয়া করার অভিযোগে আন্দামানের এক বাসিন্দাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সঞ্জয় মিস্ত্রি। বারুইপুরের এক মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে আন্দামানে আলাপ হয় গাড়িচালক সঞ্জয়ের। অভিযোগ, ওই মহিলা আন্দামান থেকে ফেরার পরেও সঞ্জয় ফোনে তাঁকে বিরক্ত করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় সঞ্জয় ফোনে কটূক্তি করে, হুমকি দেয়। দম্পতি পুলিশকে সব জানান। সঞ্জয় এ দিন ধর্মতলায় মহিলার সঙ্গে দেখা করতে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পিছু নিয়ে অন্য এক মহিলাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এ দিনই শুভজিৎ দত্ত ও চিরঞ্জিৎ সরকার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |