|
|
|
|
নতুন রূপে খুলছে পেটুয়াঘাট মত্স্যবন্দর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
আধুনিকীকরণের পর নতুন সাজে খুলতে চলেছে পেটুয়াঘাট দেশপ্রাণ মত্স্যবন্দর। কাল, ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মত্স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এই মত্স্যবন্দরের উদ্বোধন করবেন।
কাঁথি মহকুমার দেশপ্রাণ ব্লকের পেটুয়াঘাটে রসুলপুর নদীর মোহনায় ১১.৮ হেক্টর জমিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ৬০.৯ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যে দেশের বৃহত্তম মত্স্যবন্দর তৈরির জন্য রাজ্য মত্স্য নিগম উদ্যোগী হয়। ২০০৫ সালের ২৩ জুন রাজ্যের তত্কালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী এই মত্স্যবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পাঁচ বছরের কাজ শেষে ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর বর্তমান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন এই মত্স্যবন্দরের উদ্বোধন করেন। |
|
কর্মব্যস্ত পেটুয়াঘাট দেশপ্রাণ মত্স্যবন্দর।—ফাইল চিত্র। |
কিন্তু বন্দর চালু হওয়ার পর দেখা যায়, বন্দরে অনেক আধুনিক সুযোগসুবিধাই নেই। ফলে ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেক মত্স্যজীবীই এই বন্দরে ভিড়তে চাইতেন না। বন্দরে বরফকল না থাকায় ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে আসা মত্স্যজীবীদের মাছ সংরক্ষণের জন্য বাইরে থেকে বরফ কিনতে হত। আবার ফুয়েল পাম্প না থাকায় ট্রলারের জ্বালানি ডিজেলও কিনতে হত বাইরে থেকে। এ ছাড়াও বন্দরের মত্স্য নিলাম কেন্দ্রটি আয়তনে ছোট হওয়ায় মত্স্যজীবীদের সমস্যায় পড়তে হত।
এই সব সমস্যার সমাধানে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে বন্দরের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। প্রতি দিন ১০০ মেট্রিক টন বরফ উত্পাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বরফকল ছাড়াও উন্মুক্ত নিলাম কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতি দিন ৪০ কিলোলিটার ডিজেল সরবরাহের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ফুয়েল পাম্পও বসানো হয়েছে। পেটুয়াঘাট মত্স্যবন্দর আধিকারিক প্রদ্যোত্ পাহাড়ি জানান, এখানে ১০১ মিটার, ৮৪ মিটার ও ৭৫ মিটার দীর্ঘ তিনটি জেটি রয়েছে। ৩২৫টি ট্রলার একসঙ্গে ভিড়তে পারে। এছাড়াও ওয়ার্কশপ, মাছ সংরক্ষণ কেন্দ্র, জলের রিজার্ভার, ডিপ টিউবওয়েল, ফিশ প্যাকেজিং সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন প্রথম পর্যায়েই চালু করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে আইস প্ল্যান্ট, উন্মুক্ত নিলাম কেন্দ্র ও ফুয়েল পাম্প বসানোয় মত্স্যজীবীরা আরও বেশি করে মত্স্যবন্দরমুখী হবে বলে আশা করছে মত্স্য দফতর। |
|
|
|
|
|