ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, উত্তেজনা বোলপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর
|
স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজ ছাত্রের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে দিনভর উত্তেজনা তৈরি হল বোলপুরে। মঙ্গলবার ভোরে বোলপুর থানার সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ঘিদহ গ্রামে বাড়ির অদূরেই একটি গরুর গাড়ির উপরে ওই ছাত্রের নিথর
|
সাবির হোসেন |
দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সাবির হোসেন (১৯)। তিনি বোলপুর কলেজে পড়তেন। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছলেও পুলিশ বহুক্ষণ সাবিরের দেহ ময়না-তদন্তে পাঠাতে পারেনি। পরে রাত সাড়ে ৭টার পরে মৃতদেহটি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ঘটনার তদন্তে পুলিশ কুকুরের দাবিতে বাড়িতেই ওই ছাত্রের দেহ আটকে রাখা হয়। পরে দাবি মেনে পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত শুরু করলেও মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ মেটেনি। এ দিনই ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। যদিও রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় মৃতের পরিবার কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সাবির হোসেন বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যান। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁর কাকা শেখ খাইরুল প্রাতঃকৃত্য করতে বাড়ির বাইরে যান। সাবিরের ওই কাকার দাবি, বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে খামার বাড়ির কাছে একটি গরুর গাড়িতে তিনি সাবিরকে নিথর অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ির লোকেদের ডেকে আনেন। |
এই গরুর গাড়ির উপরেই মিলেছিল সাবির হোসেনের নিথর দেহ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী |
খবর পাঠানো হয় পুলিশকে। তবে তারা আসার আগেই মৃতের পরিবার সাবিরের দেহ বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিকে সাবিরের দাদা শেখ নাসির হোসেন বলেন, “পাড়ায় বা এই এলাকায় আমাদের কোনও শত্রু নেই। কে বা কারা আমার ভাইকে খুন করেছে বুঝতে পারছি না।” তাঁর দাবি, সাবিরের পিঠের এক দিকে কালশিটে দাগ ছিল। তাঁর কান ও নাক থেকে রক্ত পড়ার চিহ্ন রয়েছে বলে সাবিরের পরিবারের দাবি।
এ দিন ঘটনার খবর চাউড় হতেই ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর ভিড় জমতে শুরু করে। পুলিশ দেহ নিতে এলে বাসিন্দারা তদন্তে পুলিশ কুকুরের দাবি জানাতে শুরু করেন। বিকেল বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ পুলিশ কুকুর নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। পুলিশের দাবি, বহু মানুষ চলে আসায় এবং মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে বাড়িতে আনায় পুলিশ কুকুর তেমন কিছুর সন্ধান পায়নি। এখনও অবধি লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় পুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তদন্ত চলছে। |