কলেজে শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি, নালিশ
ক কলেজ শিক্ষিকাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিরাকিকের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বর্ধমান রাজ কলেজের বিবিএ বিসিএ বিভাগের ঘটনা। ওই শিক্ষিকাকে বর্ধমানের ভাঙাকুঠীর এক নার্সিংহামে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আধিকারিক তারকেশ্বর মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা ইত্যাদি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে রাতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েও খোঁজ মেলেনি তারকেশ্বরবাবুর।
ওই শিক্ষিকার বাবার অভিযোগ, ২৬ জুলাই তাঁর মেয়েকে চিঠি পাঠিয়ে তারকেশ্বরবাবু জানান, আগামী ২৬ অগস্ট থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। এরপরে ওই শিক্ষিকা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে বলেও ভূতনাথবাবুর দাবি। এ নিয়ে ভূতনাথবাবু ২৭ অগস্ট থানায় অভিযোগও করেন বলেও পুলিশ জানায়। সোমবার রাতে দায়ের করা অভিযোগে ভূতনাথবাবু জানান, এ দিন কলেজে গেলেও তাঁর মেয়েকে হাজিরা খাতায় সই বা ক্লাস নিতে বাধা দেন তারকেশ্বরবাবু। সেই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়। তখন তারকেশ্বরবাবু তাঁকে মারধর করেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।
তবে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকা আংশিক সময়ের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন। তারকেশ্বরবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ঠিকমতো ক্লাস না নিতে পারার অভিযোগ রয়েছে। তাই অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী তাঁকে টার্মিনেট করার কথা বলেন। উনি বারবার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কথা বললেও কোনও আদেশ দেখাতে পারেননি। তাই তাঁকে ক্লাস নিতে বা হাজিরা খাতায় সই করতে দেওয়া হয়নি। আর সোমবার কোনও গোলমাল হয়নি।”
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ সেলিমও হামলা ও শ্লীলতাহানীর কথা অস্বীকার করে বলেন, “এমন ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে জানতে পারতাম।” কলেজে টিএমসিপির ছাত্র সংসেদের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু ও সহ-সভাপতি শেখ আজহারউদ্দিন বলেন, “সারাদিনই কলেজে ছিলাম। ওই ধরনের কোনও ঘটনার কথা শুনিনি।” এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দের দাবি, “ওই ধরনের ঘটলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েররও উচিত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া।”

তিনটি মামলায় পুলিশি হেফাজত মনোজ-দেবযানীর
মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে তোলা হল সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে।
সারদা গোষ্ঠীর দুই অধিকর্তা দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনোজ নেগেলকে ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বর্ধমানের সিজএম আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান থানায় দু’টি ও আউশগ্রাম থানায় একটি মামলা রয়েছে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে নাগাদ মামলাগুলির শুনানি শুরু হয় সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারির এজলাসে। দেবযানী আদালতকে জানান, তিনি কিডনির সমস্যা, হজমের অসুখ-সহ নানা রোগে ভুগছেন। তার উপরে রাজ্যের নানা আদালতে ঘোরানোয় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। আমানতকারীরা যাতে টাকা ফেরত পান, সে জন্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন বলেও দাবি করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেই যাতে চিকিৎসার সহায়তা পান, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “বর্ধমান থানা লক-আপে জেরা করা হবে দু’জনকে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করানো হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.