বন্যায় দুর্গতদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
কেমন আছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা, ক্ষয়ক্ষতির বহর-ই বা কেমনতা খতিয়ে দেখতে রবিবার ঘাটাল এলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার-সহ ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। প্রদীপবাবু কথায়, “ধান-সব্জি থেকে ফুল চাষের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে এবং দুর্গত মানুষের কথা শুনতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। যা দেখলাম মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো। আমরা দুই মেদিনীপুর জেলাতেই ঘুরব।” |
|
ঘাটালে পরিদর্শনে প্রতিনিধিদল। |
নাগাড়ে বৃষ্টি এবং একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দুই মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়েছিল। তা ছাড়া বাঁধ ভেঙেও জলমগ্ন হয়েছিল বহু গ্রাম। অনেক জায়গায় সেই জল সরেনি এখনও। ঘাটালে এখনও বহু গ্রাম জলমগ্ন। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। বহু মানুষ গৃহহীন। ওই প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখে দাসপুর ১ ও ২ ব্লকের নাড়াজোল, নন্দনপুর, গৌরা, সোনামুই, রানিচক, কামালপুর-সহ ঘাটালের বিভিন্ন এলাকা। তাঁরা জলমগ্ন ধান জমির ছবি তোলেন। কথা বলেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ মুখোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। |
|
|
জলে ডুবে নষ্ট হয়েছে সব্জির
খেত। ভেঙেছে ঘরবাড়ি। |
শিলাবতী ও কংসাবতীর জলে ভেসে গিয়েছে রাস্তা।
বাস চলাচল বন্ধ। নৌকোতেই যাতায়াত যাত্রীদের। |
|
তাঁদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পরে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের কাছে তাঁরা ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান ছাড়া কী করা যায় তা জানতে চান। বিধায়ক ঘাটালের দু’নম্বর চাতালে (কজওয়ে) সেতু করার প্রস্তাব দেন। তা ছাড়াও একাধিক ছোট-খাটো সেতু, রাস্তা তৈরির দাবি জানান। সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর আশ্বাস দিয়ে প্রতিনিধি দলের অন্যতম প্রদীপ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “দুর্গতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কৃষি দফতরের উপ-কৃষি অধিকর্তা নিমাইচন্দ্র রায় বলেন, “এখনই ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বলা যাবে না। কেননা, এখনও কিছু এলাকা জলমগ্ন।” ঘাটাল ঘুরে ওই প্রতিনিধিদল ডেবরার উদ্দেশে রওনা দেয়। |
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
পুরনো খবর: জলমগ্ন ঘাটালে বন্ধ বহু অঙ্গনওয়াড়ি |
|