কাছাকাছি এসেও নেদারল্যান্ডসে ২০১৪ বিশ্বকাপ হকিতে খেলার সরাসরি সুযোগ হারাল সর্দার সিংহের ভারত। তাঁদের দাবি, ভুল আম্পায়ারিংয়ের জন্যই রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৩-৪ হারতে হল। এশীয় সেরার খেতাব থাকল কোরিয়ানদের দখলেই। আর এক যুগ পর বিশ্বকাপের দরজা খুলে গেল মালয়েশিয়ার সামনে।
রানার্স হওয়ায় আপাতত নভেম্বরে ওশেনিয়া কাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে। যেখানে বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজির। ওশেনিয়া গ্রুপের প্রথম দু’দল বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গিয়েছে। তাই ফিজি অঘটন ঘটিয়ে গ্রুপ-সেরা না হলে নেদারল্যান্ডসে ভারতের অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত।
এ দিন আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে শুরু করলেও প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে যায় কোরিয়া। ০-২ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে প্রবল ভাবে ম্যাচে ফেরে ভারত। ৪৮ মিনিটে গোল শোধ করেন রূপীন্দর পাল সিংহ। ছ’মিনিট পরেই ২-২ করেন নিতীন থিম্মাইয়া। কিন্তু সমতায় ফেরার তিন মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি কর্নার পায় কোরিয়া।
আর এখানেই বিতর্ক। ভারতীয় শিবিরের দাবি, ট্যাকল নিয়ম মেনেই করা হয়েছিল। পেনাল্টি কর্নার থেকে ড্র্যাগ ফ্লিকার ন্যাম হিউন উয়ো-র স্ট্রোক আটকাতে গিয়ে গায়ে লাগিয়ে বসে ভারতীয় রক্ষণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের এক প্লেয়ার বলছিলেন, “কোরিয়া শেষ যে পেনাল্টি কর্নারটা পেল সেটা অন্যায় ভাবে দেওয়া হয়েছিল। ওটা কোনও ভাবেই পেনাল্টি কর্নার হত না।” আর এক প্লেয়ারও বলছেন, “আম্পায়ারিংই আমাদের হারতে বাধ্য করল। আমরা এখানে জিততে এসেছিলাম। তবে যে ভাবে খেলেছি, তাতে আমরা খুশি।”
আম্পায়ার পেনাল্টি স্ট্রোকের নির্দেশ দিলে সেখান থেকে ৩-২ করেন হিউন। এর পরেও পাল্টা লড়ে ৩-৩ করেন মনদীপ। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৪-৩ করে ভারতীয়দের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় জল ঢেলে দেন কাং মুন কোয়েন। ভারতের প্রাপ্তি বলতে পি আর শ্রীজেশ। টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হলেন তিনি। |