দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয় দলের আসন্ন সফর হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখা দিলেও, যাঁরা চান এই সফর অবশ্যই হোক, তাঁদের মধ্যে ঈশ্বর পান্ডের নাম থাকবেই। কারণ, তাঁর আশা, সেই সফরে তিনিও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সতীর্থ হবেন।
সত্যিই যদি তেমন সুযোগ আসে, তা হলে নিজেকে নিংড়ে দিতে চান ঈশ্বর, যেমন দিয়েছেন সে দেশে ভারত ‘এ’ দলের সদ্যসমাপ্ত সফরে। এই সফরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই বছর শেষে সিনিয়রদের সফরে সফল হতে চান মধ্য প্রদেশের এই উঠতি পেসার। সেখানে কোচ ডানকান ফ্লেচারের টিপসও কাজে লাগবে বলে তাঁর ধারণা। দিন কয়েক হল দেশে ফিরেছেন। রবিবার ফোনে ধরা হলে ঈশ্বর বললেন, “ওখানে বার দুয়েক কথা হয়েছে ফ্লেচারের সঙ্গে। উনি আমাকে লেংথ ঠিক রেখে কী ভাবে সুইং করাতে হয়, তা শিখিয়েছেন। তা ছাড়া ডান হাতি ও বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে কী ভাবে আলাদা আলাদা বোলিং করতে হবে তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওঁর পরামর্শ এ বার থেকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে থাকা ২৪ বছর বয়সি ঈশ্বর বলেন, “টেস্ট ক্রিকেট খেলাই আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। কারণ, এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই আসল পরীক্ষা হয় ক্রিকেটারদের। ভারতের হয়ে আগে টেস্ট ক্রিকেটই খেলতে চাই আমি।” দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঈশ্বরের বক্তব্য, “আমাদের দেশের উইকেটের চেয়ে ওখানকার উইকেট একদম আলাদা হয়। কিন্তু যেমন ভেবেছিলাম, এ বার কিন্তু তেমনটা পাইনি। আসলে মরসুমের শুরু বলেই বোধহয় তেমন পাইনি। তবে এখানকার চেয়ে বেশি বাউন্স রয়েছে ওখানকার উইকেটে। আমি আমার লাইন ও লেংথের দিকেই বেশি মন দিয়েছিলাম। তা ছাড়া সঠিক জায়গায় বল ফেলাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ১৩৫ কিলোমিটার বেগের বলেও যাতে সুইং করাতে পারি, সে দিকে নজর ছিল।”
রাস্টেনবার্গে তাঁর সাত উইকেট পাওয়া নিয়ে ঈশ্বরের মন্তব্য, “ওখানকার উইকেট কিছুটা স্লো ছিল। প্রিটোরিয়ার উইকেটে বরং বেশি বাউন্স ছিল। দুই মাঠেই বোলিং বেশ উপভোগ করেছি।” ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তাঁর আশা, “সে তো নির্বাচকদের ব্যাপার। আমি শুধু পরিশ্রম করতে পারি। সেটাই করেছি। ও নিয়ে বেশি ভাবছি না।” |