প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে ছুঁয়ে গেল বিতর্কের রেশ!
তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে ভারতে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বর্ণ-বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে ময়দানে নয়া বিতর্ক তৈরি করলেন প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম সরকার।
অন্য দিকে শৈলেন মান্নার প্রিয় ক্লাব মোহনবাগানই গোটা দিনে একবারও স্মরণ করল না তাঁকে।
রবিবার সকালে সল্টলেকে তৃণমূলের বিধায়ক সুজিত বসুর উদ্যোগে শৈলেন মান্নার জন্মদিন পালিত হয়। সেখানে খুদে ফুটবলারদের সামনে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে গৌতম সরকার বলেন, “বিদেশি ফুটবলাররা সব হনুমান। ওদের নিয়ে এত নাচানাচির কী আছে?” |
শ্রদ্ধার্ঘ্য। সকালে সেন্ট্রাল পার্কে শৈলেন মান্নার
মূর্তিতে মাল্যদান প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
|
বিদেশিদের নিয়ে গৌতম সরকারের এ হেন মন্তব্যে চটেছেন ক্লাব-কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার তো বলে দিলেন, “বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে এ ধরনের উক্তি মানা যায় না। দেশি ফুটবলারদের মতো ওরাও একশো শতাংশ দিয়ে মাঠে লড়াই করে।” মোহন-সচিব অঞ্জন মিত্রের বক্তব্য, “আমি যদি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতাম, তবে ওখানেই এর প্রতিবাদ জানাতাম।”
গৌতম সরকারকে পরে ধরা হলে তিনি বলেন, “ভারতে এখন নিম্ন মানের বিদেশি আসছে। তাদের পিছনেই কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। অথচ পারফরম্যান্স জিরো। এতে ভারতীয় ফুটবলেরও কোনও লাভ হচ্ছে না। আমি এটাই ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলাম।”
গোটা দিন ধরেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শৈলেন মান্নার জন্মদিনে নানা অনুষ্ঠান পালিত হয়। বিকেলে উত্তম মঞ্চে শৈলেন মান্নাকে নিয়ে একটি বিশেষ তথ্যচিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “পরের বছর থেকে এই দিনটাকে পশ্চিমবঙ্গে ক্রীড়াদিবস হিসাবে পালন করার পরিকল্পনা আছে।” অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, চুনী গোস্বামী, লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। |
বিকেলে উত্তম মঞ্চে চুনী গোস্বামী।
|
অথচ মোহনবাগানের তরফে কোনও অনুষ্ঠান করা তো দূরের কথা, ক্লাব-তাঁবুতে রাখা শৈলেন মান্নার ছবিতে এসে কোনও কর্তা মালাও পরাননি। মোহন-সচিব অবশ্য যুক্তি দিলেন, “আমরা শৈলেন মান্নার জন্য যা ভাবি, তা অন্য কেউ ভাবে না। ফেডারেশনের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে আমরা আবেদন করেছি শৈলেন মান্নাকে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ দেওয়ার জন্য।” |