তাঁর নামে স্টেডিয়াম উদ্বোধনের দিনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না প্রয়াত শৈলেন মান্নার।
শনিবারই হাওড়া স্টেডিয়ামের নতুন নাম হল শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম। সঙ্গে ওই স্টেডিয়ামের দুটি ব্লকও নামাঙ্কিত হল প্রয়াত দুই ফুটবলার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণে। মাঠে অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার হাজির থাকলেও স্টেডিয়ামে দেখা গেল না সুদীপ চট্টোপাধ্যায় কিংবা শৈলেন মান্নার পরিবারের কাউকেই।
সুদীপবাবুর স্ত্রী সীমাদেবী বলছেন, “মেয়ের পরীক্ষা ছিল তাই যেতে পারিনি।” আর শৈলেন মান্নার কন্যা নীলাঞ্জনার মন্তব্য, “ওঁরা আমাদের মাত্র একটা কার্ড পাঠিয়েছিলেন। লেখা ছিল ‘অ্যাডমিট ওয়ান’। তা হলে মা এবং আমি যাই কী ভাবে?” যা শুনে মাঠে হাজির হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়ালের মন্তব্য, “মান্নাদার স্ত্রীকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলাম। নীলাঞ্জনাকে ফোন করেছি। কার্ডে ‘অ্যাডমিট ওয়ান’ লেখা থাকলেও ওঁরা এলে কেউ আটকাত না।” |
নতুন নামে হাওড়া স্টেডিয়ামকে হাজির করছেন
বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
এ দিন অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে স্টেডিয়ামের নামফলক উন্মোচন হওয়ার সময় হাজির ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অরুণ ঘোষ, অশোক চট্টোপাধ্যায়রা। তবে প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার এবং বর্তমানে হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অনুপস্থিত। রবিবার জন্মদিন প্রথম এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী প্রয়াত এই ভারত অধিনায়কের। তার আগে শনিবারই মান্নার জন্য মরণোত্তর পদ্মবিভূষণের জন্য ফেডারেশনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাল মোহনবাগান। স্টেডিয়ামের নামকরণ উপলক্ষ্যে প্রদর্শনী ম্যাচে করিমের দল ৭-০ হারাল মেয়র একাদশকে। জোড়া গোল ওডাফার। প্যাভিলিয়নে বসে সেই ম্যাচ দেখলেন বাগানের নবাগত বিদেশি এরিক। কবে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন জানতে চাইলে বললেন, “ইন্টারনেট দেখতে হবে।” |