|
|
|
|
আশারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য, দাবি পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে অভিযুক্তকেই প্রমাণ দিতে হয় যে সে নির্দোষ। দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে আশারাম বাপু আজ তার উল্টো পথে হেঁটে বলেছেন, কেউ তাঁকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারলে তিনি ৫ লক্ষ টাকা দেবেন। পরে তিনি ঘোষণা করেছেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি কেউ সত্যি বলে প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি তার দাস হয়ে থাকব।”
আশারামের এ-হেন ঘোষণার দিনেই জোধপুরের পুলিশ আজ দাবি করেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ১৬ বছরের এক কিশোরী যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ এনেছে, তা সত্যি বলেই মনে করছে তারা। তদন্তে এ পর্যন্ত যা তথ্য-প্রমাণ মিলেছে, তার সঙ্গে মেয়েটির দেওয়া বয়ানের কোনও অসঙ্গতি পুলিশ পায়নি। বরং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় পাল লাম্বার বক্তব্য, “ছিন্দওয়ারায় আশারাম পরিচালিত গুরুকুলের ওয়ার্ডেন ও কেয়ারটেকার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যা জানিয়েছেন, তাতেও অভিযোগকারিণীর বক্তব্যের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। |
|
আশারামকে ৩০ তারিখ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছিল সমনে। সেই সমন পেয়ে আর একটু সময় চেয়েছিলেন আশারাম। জোধপুর পুলিশ আজ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ছিন্দওয়ারার যে গুরুকুলে অভিযোগকারিণী থাকত, সেখানকার ওয়ার্ডেন ও কেয়ারটেকারকে আগামী কালও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মামলার রিপোর্ট চেয়েছিল। তাদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরস্বতী মন্ত্র জপলে বেঁচে যেতেন দিল্লির গণধর্ষিতা তরুণী, দাওয়াই দিয়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব এই ধর্মগুরু। নিজে কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত হওয়ার পরে এখন তাঁর মন্ত্র, “ওঁ হ্রিং ও।” টিভি সাংবাদিকরা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে গিয়েছিলেন দিন দুই আগে। তাঁর সাক্ষাৎকার লাইভ দেখানো হচ্ছে জানা মাত্রই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বদলে তিনি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে বলতে থাকেন, “সকলে ওঁ হ্রিং ওঁ মন্ত্র জপ করুন। সব বাধা-বিঘ্ন কেটে যাবে।” তাঁর ওয়েবসাইটেও চলছে ওই মন্ত্রের প্রচার। আজ দিনভরই সাইটের ঘোষণা অংশে এক বার ফুটে উঠেছে, “পূজ্য বাপুজির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।” আর পর ক্ষণেই ভেসে উঠেছে বার্তা, “বিঘ্ন-বাধা হটানোর মন্ত্র, ওঁ হ্রিং ও।ঁ আজ জন্মাষ্টমীতে এই মন্ত্রের বিশেষ জপ করুন।” কিন্তু তাতে যে আশারামের সমস্যা কোনও অংশে কমেছে, তেমন ইঙ্গিত অবশ্য এ দিন মেলেনি। সংবাদমাধ্যমে ক্রমাগত অস্বস্তিকর প্রচার ও প্রশ্ন, কংগ্রেস-বিজেপির চাপানউতোর চলছিলই। তার সঙ্গে তদন্তকারী পুলিশের তরফে বিবৃতি বরং অস্বস্তি বাড়িয়েছে আশারাম, তাঁর সেবকবাহিনী ও ভক্তদের। সংবাদমাধ্যমে এক-এক সময়ে এক-এক রকম মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ছে বুঝে অনুগামীরা আজ সংবাদমাধ্যমকে তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি। আশারামের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে এ দিন ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে আশারাম বলেছিলেন, তিনি তিহাড় জেলে যেতে প্রস্তুত। কারণ গুরু নানককেও দু’বার কারাবন্দি হতে হয়েছিল। এ নিয়ে শিখদের বিক্ষোভ বাড়ছে বুঝে, এ দিন ওই মন্তব্যের জন্য আশারামের আশ্রমের তরফে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। |
পুরনো খবর: সমন নিলেন আশারাম
|
|
|
|
|
|