অপহৃত শিক্ষক তথা সিপিএম নেত্রীর স্বামী আব্দুল রজ্জাক মোল্লাকে উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে হাসনাবাদের মধ্যমপুর স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ঝুরুলি হাইস্কুলের শিক্ষক এবং বিয়ের রেজিস্ট্রির কাজে যুক্ত আব্দুল রজ্জাকের বাড়ি হাসনাবাদের মুরারীশা চৌমাথায়। গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে কয়েকজন তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রজ্জাককে উদ্ধারের দাবিতে সোমবার হাসনাবাদ মুরারীশা চৌমাথায় দীর্ঘ সময় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে থানায় একটি ফোন আসে। জানা যায়, আব্দুল রজ্জাক মধ্যমপুর স্টেশনের কাছে আছেন। এর পরেই পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উদ্ধারের পর রজ্জাককে প্রথমে হাসপাতালে এবং পরে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রজ্জাককে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” রজ্জাক পুলিশকে জানান, ঘোড়ারস কোড়াপাড়া গ্রামে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে ওরা তাঁকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে দেয়। কোথায় ছিলেন তা বুঝতে না পারলেও বুঝতে পারছিলেন যে অপহরণকারীরা তাঁকে নিয়ে ক্রমাগত জায়গা বদল করছে। তাঁর মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। কেন তাঁকে অপহরণ করা হল জানতে চাওয়া হলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে বলে, আগামী ৩১ অগস্ট বোর্ড গঠনের পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সিপিএমের হাসনাবাদ জোনাল কমিটির সম্পাদক শক্তি মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “জনগণের চাপে আর আন্দোলনের জেরেই অপহরণকারীরা ভয় পেয়ে রজ্জাককে ছেড়ে দিয়েছে। তবে পুলিশ আরও আগে থেকে উদ্যোগী হলে ভাল হত।” তৃণমূলের কাজ্য পঞ্চায়েত সেলের আহ্বায়ক নারায়ম গোস্বামী বলেন, “আগেই বলেছিলাম সিপিএম অপহরণের নাটক করছে। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে রজ্জাককে উদ্ধার করার পরে সব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এখন নাটকের ‘নায়ক-নায়িকা’দের খুঁজে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। |