সিপিএম সদস্যার স্বামীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না- এই অভিযোগে সোমবার সকালে হাসনাবাদের মুরারীশা চৌমাথায় দীর্ঘ সময় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। সকাল সকাল রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় পথ চলতি মানুষকে। শেষপর্যন্ত হাসনাবাদ থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ২টো নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অপহরণের একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপহৃতকে উদ্ধারে তদন্ত চলছে।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম ১৩, তৃণমূল ১২ এবং কংগ্রেস ১টি আসনে জয়ী হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্ট হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। এক বা দু’জন সদস্যকে দলে টানতে পারলে দু’দলের যে কেউ সভাপতির আসন দখল করতে পারেন। সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছেন মাসুমা বিবি। তাঁর স্বামী আবদুল রজ্জাক মোল্লা পেশায় স্কুলশিক্ষক, পাশাপাশি বিয়ের রেজিস্ট্রিরও কাজ করেন। অভিযোগ, শনিবার সন্ধে নাগাদ আবদুল রজ্জাক মোল্লাকে কয়েক জন ঘোড়ারাস কোড়াপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজেষ্ট্রির জন্যে যেতে বলে। তাঁদের সঙ্গে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ আবদুল।
সিপিএমের হাসনাবাদ জোনাল কমিটির সম্পাদক শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নিশ্চিত বোর্ড গঠনে সভাপতি নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য দলীয় সদস্যার স্বামীকে অপহরণ করেছে তৃণমূল। অপহরণের পর রজ্জাকের শ্যালক মিজানুর রহমানের মোবাইলে একজন বলে রজ্জাক ভাল আছে। ওঁর স্ত্রীকে বলে দেবেন, তিনি যেন তৃণমূলকে ভোট দেন। পুলিশ বা নেতাদের কাউকে জানালে ফল ভাল হবে না। পুলিশকে বারে বারে জানালেও কিছু করেনি। তাই প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে হল।” তৃণমূলের রাজ্য পঞ্চায়েত সেলের আহ্বায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “সিপিএম নেতারা অপহরণের নাটক করছে। সভাপতি নির্বাচনের আগে কাউকে অপহরণ করতে হলে সদস্যাকেই অপহরণ করার কথা। ওদের মিথ্যাচার মানুষের কাছে পরিষ্কার হওয়ায় এই নাটককে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না।” |