মিলল জ্যান্ত ইলিশ, তবে শেষরক্ষা হল না
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফ্রেজারগঞ্জ
|
জ্যান্ত অবস্থায় ইলিশের দেখা পাওয়া বেশ শক্ত। দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু শনিবার সেই অসাধ্যসাধনই করে ফেলেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ জেটিঘাট গ্রামের মণিমোহন মণ্ডল। জ্যান্ত মাছ দেখে ভিড়ও জমেছিল বেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নোনাজলে ২৪ ঘণ্টা রাখা হলেও অক্সিজেনের অভাবে মরে গেল মাছটি। শনিবার সকালে ট্রলারে মুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়েছিলেন রঙিন মাছের ব্যবসায়ী মণিমোহনবাবু। দুপুরে নদী থেকে প্রায় তিনশো গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছটি জ্যান্ত অবস্থায় ধরেন তিনি। সঙ্গে ছিল পলিথিনের ব্যাগে নোনাজল আর অক্সিজেন। তাতেই মাছটি নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপর থেকে রবিবার দুপুরে পাইপে করে অক্সিজেনও দেওয়া হয়। তারপর সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষ হতেই মারা যায় মাছটি। মণিমোহনবাবু বলেন, “বাড়িতে আনার পরে প্যাকেটের ভিতর অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাত্ই অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। মাছটিকে আর বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। পরে ফের চেষ্টা করব।” জ্যান্ত ইলিশ ধরা পড়ার খবরে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা অরুণা দাস, শ্যামল দাসেরা বলেন, “জ্যান্ত ইলিশ আগে কখনও দেখিনি। এই প্রথম দেখলাম।” মত্স্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক, ডায়মন্ডহারবার) কিরণলাল দাস বলেন, “বিষয়টি জানি। মিঠে জলে ইলিশ মাছ বাঁচানো ও ইলিশ চাষের জন্য আমাদের দফতরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মণিমোহন যদি জ্যান্ত অবস্থায় বাড়িতে ইলিশ রাখতে পারেন, তবে তা আমাদের গবেষণায় কাজে লাগবে।”
|
বরুণ-খুনে সিবিআই তদন্ত দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
সুটিয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী বরুণ বিশ্বাস হত্যায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে এ বার কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়াই মনস্থ করেছে তাঁর পরিবার। গত বছর গোবরডাঙা রেল স্টেশনে সুটিয়ার প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদক বরুণ খুন হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। খুনে জড়িত অভিযোগে গণধর্ষণ-কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুশান্ত চৌধুরী-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন ধরেই সিআইডি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্ত দাবি করছিলেন বরুণের পরিবার ও প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যেরা। এ বার হাইকোর্টই সিদ্ধান্ত নিক, চাইছে বরুণের পরিবার। বরুণের দাদা অসিতবাবুর দাবি, “সিআইডি তদন্তে গাফিলতি আছে। খুনের প্রকৃত পরিকল্পনাকারীরা অধরা। তাই সিবিআই তদন্ত চাই।” একই বক্তব্য বরুণের বাবা জগদীশবাবুরও। বলেন, “চার্জশিটে অনেক অসঙ্গতি, সিআইডি তদন্তে ফাঁক রয়েছে। মানবাধিকার কর্মী নন্দদুলাল দাস-সহ অনেক প্রত্যক্ষদর্শীকে মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। সিবিআই তদন্ত হলে সত্য সামনে আসবে।” এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন বলে জানান প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার। তবে, সরকারি কৌঁসুলি সমীর দাস বলেন, “এক বছর পরে কেন বরুণের পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইছে বুঝছি না। সাক্ষীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। এই ভাবে চললে দুষ্কৃতীরা সুবিধা পেয়ে যাবে।”
পুরনো খবর: বরুণ খুনে বিরোধিতা, উন্নয়নে আস্থা তৃণমূলে
|
নাবালিকাকে পাচারের নালিশ, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
এক নাবালিকাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ ও যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অনুপ রায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকার সঙ্গে ফোনে আলাপ হয় ধৃত অনুপের। তার বাড়ি স্থানীয় কাড়োলা এলাকায়। মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তারই সুযোগ নিয়ে অনুপ তাকে পুনেতে ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। মেয়েটি তাতে রাজিও হয়ে যায়। এর পরে মেয়েটি মছলন্দপুর স্টেশনে অনুপের সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে তাকে সে পুনেতে নিয়ে যায়। মেয়েটির অভিযোগ, সেখানে তাকে ধর্ষণ করে অনুপ। তার পরে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। এর পর গত শনিবার পুনের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনে গাইঘাটা থানার পুলিশ। রবিবার গ্রেফতার করা হয় অনুপকে।
|
চুরি করতে এসে গণপ্রহারে মৃত্যু হল দুষ্কৃতীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
চুরি করতে এতে ধরা পড়ে গিয়ে গণপ্রহারে মৃত্যু হল চোরের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার দক্ষিণ পাতিখালিতে ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ পাতিখালির মহাদেব মণ্ডলের বাড়িতে ওই দিন রাতে দুই দুষ্কৃতী চুরি করতে ঢোকে। বাড়ির লোজন টের পেয়ে চিত্কার করতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। দুই চোরকে ধরে ফেলে শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে জীবনতলার খুঁচিতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকেরা একজনকে মৃত বলে জানান। অন্যজনকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম চোরের নাম রহিম আলি। সে জীবনতলার হরিণদা গ্রামের বাসিন্দা। জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, “গণপ্রহারের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাড়ির মালিকের ছেলে-সহ দু’জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা |
এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে রবিবার রাতে বাগদা বাজার থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম জয়ন্ত দে ও আসের মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, বনগাঁর বাগান গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা তার মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যায় বাগদায় ঝুলনযাত্রা দেখতে গিয়েছিল। সেখানে তিন যুবক ওই নাবালিকাকে কটূক্তি করলে তার মামাতো ভাই প্রতিবাদ করে। অভিযোগ, এর পর ওই তিন যুবক নাবালিকার শ্লীলতাহানি করে। দু’জনকে গ্রেফতার করলেও একজন পালিয়ে যায়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমায় তিনটি পৃথক ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং দোকানে লুঠপাট চালানো অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। তিনটি ক্ষেত্রেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |