শুধু পিটারসেন, অ্যান্ডারসন, ব্রড নন, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের গণপ্রস্রাব-কাণ্ডে যে তিনিও ছিলেন, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন সদ্যসমাপ্ত অ্যাসেজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি গ্রেম সোয়ান। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি যে সত্যিই ঘটিয়েছিলেন তাঁরা, সেটা এক রকম মেনে নিয়ে সোয়ান ব্যাপারটা হাল্কা করার চেষ্টা করেছেন।
মঙ্গলবার ‘দ্য সান’-এ সোয়ান তাঁর কলামে লিখেছেন, “আমরা সবাই সেই রাতে মাঠের মাঝখানে গিয়েছিলাম। বিয়ার পান করেছিলাম, গান গেয়েছিলাম, একে অপরের সঙ্গে চুটিয়ে মজা করেছিলাম। বোধহয় প্রকৃতির ডাক দু-একবার এসেছিল। কিন্তু সে তো অস্বাভাবিক নয়। তখন প্রায় মাঝরাত। মাঠে অন্ধকার। আমরা নিজেরা একটু হইহুল্লোড় করতেই পারি।”
ওভাল কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলেছেন শেন ওয়ার্নও। তাঁর বক্তব্য, “ড্রেসিংরুমের মধ্যে যা করার করো, যত পারো মাতাল হও। কিন্তু ওভালের মতো ঐতিহাসিক উইকেটে এমন কাণ্ড ঘটানোটা যথেষ্ট উদ্ধত আচরণের নমুনা। খুব লজ্জার ব্যাপার যে, ইংরেজ ক্রিকেটাররা নিজেরাই নিজেদের এত নীচে নামিয়ে আনল। এমন একটা ব্যাপার সামলানো ইসিবি-র পক্ষে বেশ কঠিন হবে।” অ্যালিস্টার কুকের দলের ছেলেদের আচরণ নিয়েও অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ন। তাঁর বক্তব্য, “গত দু’টি টেস্টেই ইংরেজ ক্রিকেটারদের মাঠের বাইরের আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করছি।” সরকারি ভাবে এই নিয়ে তদন্তের কোনও ঘোষণা ইসিবি করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে ওভালের রক্ষণাবেক্ষণকারী সারে কাউন্টির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন ইসিবি কর্তারা।
কুকদের টিম ডিরেক্টর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকেও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বেশ বিরক্তি প্রকাশ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন, “আমরা কি এ সব হাস্যকর বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে টেস্ট সিরিজ জয় নিয়ে কথা বলতে পারি?”
এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজ থেকে কুক, ব্রড, বেল, অ্যান্ডারসন ও সোয়ানকে বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ইসিবি বলছে, শাস্তিমুলক কোনও ব্যবস্থা নয়, ক্রিকেটারদের নেহাৎ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
|