বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার আগে শেষ ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে আসন্ন রবিবারের কলকাতায়, ১ সেপ্টেম্বর। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঠিক হবে বার্ষিক সভার দিনক্ষণ। বৈঠকের চরিত্রও সাধারণ ওয়ার্কিং কমিটি নয়, ইমার্জেন্ট। সব ঠিক আছে। কিন্তু সম্ভাব্য সময়ে বার্ষিক সভা হবে কি না, কিংবা বার্ষিক সভার আগে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বোর্ড মসনদে ফেরার সম্ভাবনা আদৌ থাকবে কি না রবিবাসরীয় বৈঠকের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত আন্দাজ পাওয়ার উপায় নেই।
কেন? বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের কারও কারও কথা ধরলে, আগামী ৩০ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড সংক্রান্ত দু’টো মামলার শুনানি হবে। একটা বোর্ডের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন। যেখানে শ্রীনি-র বোর্ড নিযুক্ত আইপিএল সিক্স গড়াপেটার তদন্ত কমিশন নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। অন্যটা, বিহার ক্রিকেট সংস্থার স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের কাছেই আবেদন করা হয়েছে তদন্ত কমিশন তৈরি করে দেওয়ার। বোর্ডের কোনও কোনও কর্তার বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট কী বলে তার পরই বোঝা যাবে বার্ষিক সভাকে ঘিরে কী ঘটতে চলেছে।
মঙ্গলবার হঠাৎই ইমার্জেন্ট ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকের কথা ঘোষণা করে দেয় বোর্ড। যা শুনে কোনও কোনও কর্তা কিছুটা অবাকও হয়ে যান। বলা হতে থাকে, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে কী ভাবে ইমার্জেন্ট বৈঠক ডাকা হল? আলোচনাটা কী নিয়ে হবে? তার উপর ইমার্জেন্ট বৈঠকে একগুচ্ছ অ্যাজেন্ডা। সাধারণত যেখানে একটা হয়। মনে করা হচ্ছে, বার্ষিক সভার দিন এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কেলেঙ্কারি-ই মুখ্য আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে। কিন্তু তখনও কিছুটা আশ্চর্য হওয়া বাকি ছিল। তখনও জানা ছিল না, ২৯ ও ৩০ অগস্ট পরপর দু’দিনে দু’টো মামলার শুনানি হবে না। সুপ্রিম কোর্ট দু’টোকে জুড়ে দেবে একদিনে ৩০ অগস্ট।
যার পরপরই আবার বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মা দাবি করতে থাকেন, দু’টো মামলার শুনানি যেহেতু একসঙ্গে হবে, তাই শ্রীনিবাসনের উপর চাপ আরও বাড়ল। “এটা তো বোঝাই যাচ্ছে যে সুপ্রিম কোর্ট আমার তদন্ত কমিশন নিয়ে দাবিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ বার যদি তার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ডের কাছে কোর্ট নোটিশ পাঠায়, অন্তত আরও চার সপ্তাহের ধাক্কা। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষে বার্ষিক সভা হলে শ্রীনিবাসন আর কোথায় থাকছে? নির্বাচন হলেও তো সেখানে ও থাকতে পারবে না,” দিল্লি থেকে ফোনে বলছিলেন আদিত্য। কিন্তু সেপ্টেম্বরের শেষেই বার্ষিক সভা হবে কি না, নাকি আরও পিছোবে, তা নিয়েও আপাতত স্পষ্ট উত্তর নেই। কেউ কেউ বলছেন, ১ সেপ্টেম্বর শেষ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা মানে সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি বার্ষিক সভার ইঙ্গিত থাকছে। কারণ, একুশ দিনের নোটিশে বার্ষিক সভা ডাকতে হয়। সেই চাহিদা মিটে যাচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, অতীতেও বোর্ডের বার্ষিক সভা পিছিয়েছে। ২০০৪ সালে সেই উদাহরণ আছে। অর্থাৎ, নিয়মে আটকাবে না।
বল যে দিকেই গড়াক, শুক্রবারের আগে ছবিটা পরিষ্কার হবে না।
|