মেয়র বিরোধিতা করেছিলেন আগেই। কলকাতা ‘জঞ্জালনগরী’, স্যাম পিত্রোদার এই মন্তব্য ঘিরে এ বার আরও সংগঠিত বিরোধিতায় কোমর বাঁধল তৃণমূল। তবে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দাবি, কটাক্ষ নয়, পিত্রোদা ওই উদাহরণ টেনে নাগরিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথাই বলতে চেয়েছিলেন।
সোমবার পিত্রোদার জঞ্জাল সংক্রান্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিল্লির সম্মেলনেই পিত্রোদার অভিযোগ নস্যাৎ করে সরব হন রাজ্যের নগরোন্নয়ন সচিব দেবাশিস সেন। আর মঙ্গলবার পিত্রোদার কথার বিরোধিতায় মুখ খুললেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। যিনি স্যাম পিত্রোদার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের পথ খুঁজতে পিত্রোদার হাতেই দায়িত্ব দেন দীনেশ। ফলে এ দিন তৃণমূল সাংসদ সরব হওয়ায় বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।
সোমবার নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি সম্মেলনে স্যাম পিত্রোদা দাবি করেন, কলকাতায় যত্রতত্র জঞ্জাল চোখে পড়ে। সর্বত্রই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সেই দাবি খারিজ করে ওই দিনই পুরসভা সূত্রে জানানো হয়, জঞ্জাল সাফাইয়ে ১৬টি কমপ্যাক্টর যন্ত্র লাগানোয় পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। এ দিন দীনেশও দাবি করেন, কয়েক বছরে কলকাতার সার্বিক চিত্র অনেকটাই বদলেছে। তাঁর বালিগঞ্জের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা বা লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরও আগের থেকে অনেক বেশি সাফ। এর পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা আছে বলেও মনে করেন দীনেশ। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেন। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তখন হাওড়া স্টেশনে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখে তিনি ভীষণ বিরক্ত হন।”
যে ভাবে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অস্বস্তিতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের দাবি, পিত্রোদা সরাসরি কোনও শহরকে কটাক্ষ করতে চাননি। জঞ্জালের উদাহরণ দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ওই সমস্যা মেটাতে প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা। তাতে কাজ না হলে বড় অঙ্কের জরিমানার সুপারিশ করেন স্যাম। |