দলছুট হয়ে লোকালয়ের আশপাশের জঙ্গলে ঘুরছিল বছর দশেকের ৭ ফুট উঁচু হাতিটি। গ্রামে ঢুকে খেতে হামলা করত, নষ্ট করত বাড়িঘর। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক একটি সংগঠনের সাহায্যে ঘুমপাড়ানি গুলিতে হাতিটিকে বেহুঁশ করে ফের জঙ্গলে পাঠালো বন দফতর। নগাঁও জেলার কাকির ঘটনা।
ডিএফও রাজেন চৌধুরি জানান, নিজের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ৭০ দিন ধরে কাকি সংরক্ষিত অরণ্যের আশপাশেই ঘুরছিল দাঁতাল হাতিটি। মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকে খেতের ফসল নষ্ট করেছে সেটি। ভেঙেছে বাড়িও। হাতির হামলায় জখম হন এক কৃষক। হাতিটিকে গুলিও করা হয়। |
কুনকি হাতির সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নগাঁওয়ের দাঁতালকে। ছবি: ডব্লুটিআই-এর সৌজন্যে |
পশু চিকিৎসক অঞ্জন তালুকদার জানান, কয়েকদিন আগে জখম হাতিটির দেহ থেকে গুলি বের করা হয়। কিন্তু সেটিকে অন্য জায়গায় সরানো যায়নি। গ্রামবাসীদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হাতিটিকে দূরের কোনও জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অঞ্জনবাবুর পাশাপাশি ওই কাজে সাহায্য নেওয়া হয় ভাষ্কর চৌধুরি, প্রভাত বসুমাতারি, অ্যান্টনি ফুংসো, দীপেন কলিতা এবং বন বিভাগের সবচেয়ে বড় কুনকি হাতি দেবীলালের। ছিলেন হাতি-ফান্দিরাও।
২৩ এবং ২৪ অগস্ট দাঁতালটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে বেহুঁশ করার চেষ্টা চলে। কাজ হাসিল হওয়ার পর দেবীলালের সঙ্গে সেটিকে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় লামডিং সংরক্ষিত অরণ্যে। ওই অরণ্য নগাঁও, কার্বি আংলং, উত্তর-কাছাড় পাহাড় ও ধনসিড়ি-লামডিং জঙ্গলের যোগসূত্র হিসেবে পরিচিত। আজ হাতিটিকে সুস্থ অবস্থায় ধনসিড়ির জঙ্গলে দেখা গিয়েছে। |