কলকাতা তাঁর কাছে ‘জঞ্জালনগরী’। এ শহরের যত্রতত্র জঞ্জালের স্তূপ দেখে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। খোদ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শদাতা স্যাম পিত্রোদা সোমবার দিল্লিতে এক সম্মেলনে উগরে দিলেন সেই বিরক্তিটাই। শহরের জঞ্জাল নিয়ে অব্যবস্থার এই অভিযোগ নস্যাত্ করে উল্টো সুর কলকাতার মেয়রের। তাঁর দাবি, “কলকাতা এখন রীতিমতো এক নিয়ন্ত্রিত শহর।”
  নগরোন্নয়ন নিয়ে দিল্লির ওই সম্মেলনে স্যাম পিত্রোদা বলেন, “আমি দু’দিন আগেই কলকাতা থেকে ফিরে এলাম। যখনই সেখানে যাই, একমাত্র জঞ্জালই নজরে পড়ে। সর্বত্রই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। অথচ ওই অব্যবস্থা কেউই মানতে চায় না।” তাঁর কথায়, “শহর ঘুরলেই বোঝা যাবে কী জঘন্য পরিস্থিতি।”
কলকাতায় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্যাম পিত্রোদা কী বলেছেন, জানি না। কোথায় কী দেখেছেন, তা-ও জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, কলকাতা আগের তুলনায় অনেক পরিষ্কার হয়েছে।” শোভনবাবুর দাবি, এখানে নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয়। শহর সাফ রাখতে সকাল-বিকেল দু’বেলাই পুরকর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় জঞ্জাল তোলার কাজ করছেন। এর জন্য কয়েক হাজার ১০০ দিনের কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে।
মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদার এখন দিল্লিতে। স্যামের বক্তব্য শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “দিল্লির চেয়েও সাফ রয়েছে কলকাতা। আড়াই বছর আগে শহরে জঞ্জাল পড়ে থাকত। এখন পরিস্থিতি বদলেছে।” তিনি জানান, ইতিমধ্যেই শহরে ১৬টি কমপ্যাক্টর যন্ত্র লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জঞ্জাল সাফাই করা হয়। এতে শহরের যত্রতত্র ভ্যাটের সংখ্যা কমেছে। অদূর ভবিষ্যতে শহর থেকে ভ্যাট তুলে দেওয়াই পুরসভার লক্ষ্য বলে দেবব্রতবাবু জানান।
জঞ্জাল নিয়ে কলকাতার সমালোচনা করলেও স্যাম অবশ্য বিভিন্ন শহরের মেয়রদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, “মেয়রের হাতে ক্ষমতা বাড়ালে শহরের উন্নয়ন সম্ভব। অন্যথায় তাঁদের পক্ষে কাজ করা কঠিন হবে।”
|
