রোজকার মতোই রবিবার সকালে বাজারে যাচ্ছিলেন পাঁচলার বাসিন্দা স্বপন বোধক। হঠাত্ দেখলেন, বছর পনেরোর একটি ছেলে ঝুড়িতে করে একটি কচ্ছপ নিয়ে বাজারে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কচ্ছপটিকে মেরে সেটির মাংস বিক্রি হবে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি স্বপনবাবুর। তাই সেটিকে বাঁচানোর জন্য তড়িঘড়ি ঠিক করে ফেলেন, কচ্ছপটিকে তিনিই কিনে নেবেন। |
উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটিকে নিয়ে স্বপন বোধক।—নিজস্ব চিত্র। |
যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। ৩০০ টাকায় কচ্ছপটিকে কিনে বাড়ি ফিরে আসেন স্বপনবাবু। বাড়িতে ফিরে কচ্ছপটিকে একটি গামলায় রেখে দেন। তার পরে সোমবার সকালে ব্যাগে ভরে সেটিকে নিয়ে সোজা চলে আসেন হাওড়ার বন দফতরের অফিসে। সেখানে ফরেস্ট রেঞ্জার বিবেকানন্দ রায়ের হাতে কচ্ছপটি তুলে দেন।
বিবেকানন্দবাবু জানিয়েছেন, কচ্ছপটি বিরল প্রজাতির। নাম ‘ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপসেল’। লম্বায় প্রায় এক ফুট, চওড়ায় এগারো ইঞ্চি, ওজন ১ কিলো ৮০০ গ্রাম। কচ্ছপটিকে সল্টলেকের বন্যপ্রাণী দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবেকানন্দবাবু বলেন, “স্বপনবাবু এক জন সচেতন নাগরিকের মতো কাজ করেছেন। তাই আমরা বিরল প্রজাতির কচ্ছপটিকে উদ্ধার করতে পারলাম।”
পেশায় বিমাকর্মী স্বপনবাবুর কথায়, “কচ্ছপটি বিরল প্রজাতির কি না বুঝতে পারিনি। তবে এটা বুঝেছিলাম, বাজারে ওটাকে মেরে মাংস বিক্রি হবে। খুব মায়া হচ্ছিল কচ্ছপটিকে দেখে। তাই কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। ওকে খেতে দেওয়ার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু হাতে কামড়ে দিচ্ছিল।”
|