চোরাই কাঠ সহ একটি ট্রাক আটক করল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের তপসিখাতা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে বন দফতর সূত্রের খবর, ওই ট্রাকটিতে প্রচুর পরিমাণ শাল ও সেগুন কাঠের লগ পাওয়া গিয়েছে। ওই কাঠের কোনও রকম কাগজপত্র চালক বা আরোহীরা দেখাতে না পারার কারণে সে সব কাঠ বাজেয়াপ্ত করেন বন দফতরের কর্মীরা। তবে বন দফতরের পক্ষ থেকে এ দিন অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছে, কাঠ বোঝাই এই ট্রাকটি বিএসএফ-এর। তাতে চালক এবং আরোহী-সহ যাঁরা ছিলেন তাঁরা সকলেই বিএসএফের জওয়ান। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি অপূর্ব সেন এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাঠ বাজেয়াপ্ত করে ট্রাক সহ আরোহীদের আটক করে বন দফতরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিএসএফ দওয়ানদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। মৃতের নাম অবনী দেবসিংহ (৪৫)। সোমবার সন্ধ্যায় লালগড়ের বেলবনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শালবনির মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনীবাবু বেলবনি যাচ্ছিলেন। পথে জঙ্গল থেকে দলছুট একটি হাতি অবনীবাবুকে তাড়া করে। অবস্থা বেগতিক বুঝে অবনীবাবু ছুটে পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাতিটি অবনীবাবুকে শুঁড়ে জড়িয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে পায়ে পিষে মারে। খবর পেয়ে গোয়ালতোড় রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশও যায়। বন দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” গত শুক্রবার রাতে লালগড়ের হরিহরপুরেও হাতির হামলায় শ্রীকান্ত সিংহ নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল।
|
বিষধর সাপকে ধরে জল খাওয়ানোর সময় ছোবলে মৃত্যু হল এক ওঝার। মঙ্গলবার ভোরে চন্দ্রকোনা থানার বড় বালা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হারাধন দাস (৪৫)। হারাধনবাবু দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম বিষধর সাপ নিয়ে গ্রামে গ্রামে খেলা দেখাতেন। সাপে কামড়ালে এলাকার অনেকে হাসপাতালে না গিয়ে হারাধনবাবুর কাছে নিয়ে আসতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হারাধনবাবু একটি বিষধর সাপ ধরে বাড়িতে আনেন। এদিন ভোরে সাপটিকে জল খাওয়ানোর জন্য ঝাঁপি থেকে বের করলেই ছোবল মারে। তীব্র বিষক্রিয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হারাধনবাবুর। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য ঘাটাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
টানা তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হল বিষ্ণুপুরের বারিশোল গ্রামের আহত দাঁতালটিকে। মঙ্গলবার দুপুরে জঙ্গলের মধ্যেই শুরু হল তার অস্ত্রোপচার। বন্যপ্রাণী শাখার বনপাল (সদর) কল্যাণ দাসের নেতৃত্বে প্রায় তিন ঘণ্টার ওই চিকিৎসা পর্বে হাজির ছিলেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সুব্রত পালচৌধুরীও। পশু চিকিৎসক সঞ্জয় শীট বলেন, “ডান পা ছাড়াও হাতিটির পায়ুদ্বারেও অসংখ্য ক্ষত ছিল। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই হাতিটি সেরে উঠবে বলে আশা করছি।” |