কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে বিরোধ |
কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন-এর শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। গ্রেটার সূত্রের খবর, সম্প্রতি বংশীবদন বর্মনকে সম্পাদক ও আশুতোষ বর্মাকে সভাপতি করে দিনহাটার প্রান্তিক বাজারে সংগঠন ভেঙে তৈরি চারটি গোষ্ঠীর নেতারা একসঙ্গে আন্দোলন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বংশীবদনবাবুদের ওই কমিটির তরফে জিসিপিএ-র শিবাজী সরকার গোষ্ঠী ফের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসসিয়েশনের আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন বলেও দাবি করা হয়। রবিবার ওই গোষ্ঠীর সভাপতি শিবাজী সরকার বলেছেন, “যাঁরা সভাপতি, সম্পাদক হয়েছেন, তারা জিসিপিএতে ছিলেন না। নতুন দল করেন। আমি সভাপতি হিসাবে দল চালাচ্ছিলাম। আমাকে অন্ধকারে রেখে নতুন কমিটি করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” গ্রেটারের আরেকটি গোষ্ঠীর সম্পাদক বংশীবদন বর্মন বলেন, “আমি জেলে যাওয়ার পরে নলিনী রায় সম্পাদক হন। পরে কিছু গোষ্ঠী তৈরি হয়। নলিনীবাবু আমাদের সঙ্গেই আছেন। এ সংগঠনই আসল।” তিনি বলেন, “সবার সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি করা হয়েছে। একা শিবাজী সরকার কী বললেন তা গুরুত্ব দিতে চাইছি না। সংগঠনগুলিকে একজোট করার বৈঠকে শিবাজীবাবুর প্রতিনিধি ছিলেন। সেই সময় তারা আপত্তি করেননি।” এই পরিস্থিতিতে ৩০ অগস্ট জেলাশাসকের দফতরে ডাকা গণ ডেপুটেশন কর্মসূচি ধাক্কা খাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
পুরনো খবর: কোচবিহার রাজ্য চেয়ে এক হল ৪ সংগঠন
|
পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। রবিবার বালুরঘাটে ডুমইর এলাকার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শীতলি সাহা (২২)। গত শনিবার রাতে তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা সুখন সাহা এদিন বালুরঘাট হাসপাতালে জামাই-সহ পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত শ্বশুর বীরেন সাউকে গ্রেফতার করে। আইসি বিপুল মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত বধূর শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বামী ও শাশুড়িকে খোঁজা হচ্ছে। মালদহের কুমেদপুর এলাকার শীতলিদেবীর সঙ্গে দুবছর আগে বালুরঘাটের ডুমইর এলাকার কৃষিজীবী উজ্জ্বল সাউয়ের বিয়ে হয়। মৃতার বাবা সুখনবাবুর অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে মেয়ের উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার শুরু করেন। কয়েকবার সালিশিতে কিছু হয়নি। অভিযুক্তরা জোর করে মেয়েকে বিষ খাওয়ান।” থানায় বসে ধৃত শ্বশুর বীরেনবাবু বধূ নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বউমা বিষ খায়। অভিযোগ মিথ্যা।”
|
কালিয়াচকের বাজারতি গ্রামে একটি বাড়ি থেকে ২০০টি বোমা, একটি মাসকেট ও ৫০টি তির ধনুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। ওই বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র কেন জড়ো করা হয়েছিল তা দেখা হচ্ছে।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি কংগ্রেসের এক নেতার। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাজারতি টোলা বুথে কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা করতে কংগ্রেসের ইসলাম হাজি ও তার ছেলে আলম হাজি বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে বোমা বানানো ছাড়াও অস্ত্র মজুত করছিলেন।” পাল্টা অভিযোগ করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। বলেন, “পুলিশকে কাজে লাগিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করছে তৃণমূল। ওদের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় অনেকে ঘরছাড়া, সে সুযোগে ওরা বাড়িতে অস্ত্র রেখে পুলিশে খবর দিচ্ছে। মানুষ তৃণমূলের এ রাজনীতির কথা জানে।”
|
সিপিএম-কংগ্রেসে সংঘর্ষ ইসলামপুরে |
কংগ্রেস-সিপিএম সংঘর্ষ হল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। রবিবার দুপুরে ইসলামপুর থানার পাঁচরসিয়া এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন জখম হন বলে জানা গিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে দুপুরে তাদের সমর্থকদের বাড়িতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কংগ্রেস সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। তাদের তিন জন সমর্থক আহত হয়েছে বলে সিপিএমের দাবি। কংগ্রেসের নালিশ, সিপিএম সদস্যরা হামলা চালায়। ২ সমর্থক জখম হয় বলে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
সিপিএম-তৃণমূলে সংঘর্ষ বক্সিরহাটে |
বিজয় মিছিল কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একদল সমর্থকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকালে বক্সিরহাট থানার রামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়াইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। জোড়াইয়ে বিজয় মিছিল বার করেন তৃণমূল সমর্থকরা। মিছিল চলার সময়ে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের বাদানুবাদে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যে জোড়াইয়ে সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসে দরজা-চেয়ার-টেবিলসহ নানা আসবাব ভাঙচুর করা হয়ে বলে অভিযোগ।
|
২৮ অগস্ট বন্ধের ডাক কেএলও-র |
আগামী ২৮ অগস্ট ২৪ ঘণ্টার ‘কামতাপুর বন্ধের’ ডাক দিয়েছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)। ওই দিন ‘কালা দিবস’ পালন করা হবে বলেও কেএলও ঘোষণা করেছে। রবিবার কেএলওর তরফে ই-মেলে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কেএলও-র কমান্ডার-ইন-চিফ শ্যাম রায়ের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন হলেও সরকারের তরফে তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি। খোঁজখবর শুরু হয়েছে।” পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্য ঘোষণার পরে, কামতাপুর পিপলস পার্টির সঙ্গে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি মিশে গিয়ে সম্প্রতি নতুন করে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। গত ২১ অগস্ট হাজার তিনেক সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে কেপিপি। এই প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের বন্ধের ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
|
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাটের গোবিন্দপুর এলাকায়। রবিবার সকালে তাঁর দেহ গোবিন্দ পুরের মাঠ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। মৃতের নাম গোকুল সরকার (৬৫)। তাঁর বাড়ি এলাকার চকহরিনা গ্রামে। |