পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিভেদ ভুলে ফের একমঞ্চে সামিল হল গ্রেটার কোচবিহার পিপ্লস অ্যাসোসিয়েশনের চারটি সংগঠন। রবিবার দিনহাটার প্রান্তিক বাজারে মিলন সভা করে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের জ্যোতিষপন্থী ও শিবাজী সরকার গোষ্ঠী পাশাপাশি বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টি ও গ্রেটার কোচবিহার ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতৃত্ব একসঙ্গে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আগামী ২৮ অগস্ট কোচবিহার জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর আন্দোলনের কর্মসূচিও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এ দিন কোচবিহারে বলেন, “কেন্দ্রের তৃতীয় ইউপিএ সরকার তেলেঙ্গানা ইস্যু পাস করার পরে গোটা দেশে যে দাবি উঠেছে তাতে নতুন করে আরও ২২টি রাজ্য গঠন হতে পারে। সেটা কখনই সম্ভব নয়। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার রাজনৈতিক লাভের কথা ভেবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দেশে ঐক্য, সম্প্রতি নষ্ট হচ্ছ। মানুষে মানুষে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেটা হওয়া উচিত নয়।”
পুরানো নামে সংঘবদ্ধ ওই সংগঠনের সম্পাদক হিসাবে বংশীবদন বর্মন, সহকারি সম্পাদক নলিনীকান্ত বর্মন ও সভাপতি হিসাবে আশুতোষ বর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নমিতা বর্মনের নেতৃত্বাধীন একটি গোষ্ঠী অবশ্য ওই কর্মসূচিতে যোগ দেয়নি। বংশীবদন বর্মন বলেন, “কোচবিহারের মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে ভারত সরকারের চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার গ শ্রেণির রাজ্য। বেআইনিভাবে কোচবিহারকে জেলা করা হয়। প্রথমে একজোট হয়ে আন্দোলন হলেও পরে নানা কারণে সংগঠন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ছিল। সেসব মেটাতে ফের জিসিপিএর নামে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ১৯৯৮ সালের গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়। ২০০৫ সালে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক থাকাকালীন বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বে পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হয় কোচবিহার। এক আইপিএস, দুই কনস্টেবল ও দুই আন্দোলনকারী মারা যান। ওই ঘটনায় পুলিশ খুনের মামলা রুজু করলে বংশীবাবু-সহ ৪৩ জন জেলে যান। বংশীবাবু ২০১১ সালে জামিনে ছাড়া পান।
দাবা আকাদেমি। দাবা আকাদেমি গঠন করা হল মালবাজারে। ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার মালবাজারে রবিবার দিশা নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানেই দাবা আকাদেমির উদ্বোধন হয়। |