|
|
|
|
কাগজ কমছে গ্রন্থাগারে, বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
সরকারি নির্দেশে বহুল প্রচারিত কিছু সংবাদপত্র সরকারি গ্রন্থাগারে রাখা আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি তালিকায় থাকা বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রকাশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারে সংবাদপত্রের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। যার জেরে আখেরে বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকেরাই। হলদিবাড়ি ব্লকে পাঠাগারের সংখ্যা ছয়টি। গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। গ্রন্থাগারে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র রাখা নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালা হবে বলে আশায় রয়েছেন গ্রন্থাগার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিরা। গ্রন্থাগারে কম সংবাদপত্র থাকায় পাঠক-ক্ষোভের মুখে প্রায়ই পড়তে হচ্ছে বলে সমিতির একাংশ পদাধিকারী জানিয়েছেন।
হলদিবাড়ির পিভিএন লাইব্রেরিতে এখন শুধুমাত্র দুটি সংবাদপত্র আসছে। সেই সংবাদপত্র দুটি প্রচার সংখ্যার নিরিখে সামনের সারিতে নেই বলে পাঠকের অভিযোগ। পরিচালন সমিতি সম্পাদক পঙ্কজ চক্রবর্তী বলেছেন, “আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। তারপর আগের মত বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলি রাখা হবে। পাঠাগারটিতে আগে সদস্যরা ছাড়াও বহু বাসিন্দা সংবাদপত্রগুলি পড়তে আসতেন। যারা এখন আসছেন না।”
এ অবস্থা পাঠানপাড়াপল্লি যুবসংঘ, কাশিয়াবাড়ি পাঠাগার, দেওয়ানগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার, হেমকুমারী তরুণ সংঘ পাঠাগার এবং বগরিবাড়ি সুভাষ পাঠাগারের। গ্রাম এলাকার গ্রন্থাগারেও সংবাদপত্র পড়তে আসা পাঠকের সংখ্যা সদস্যদের দ্বিগুণ বেশি।
পাঠানপাড়াপল্লি যুবসংঘ পাঠাগার -এর পরিচালন সমিতির সম্পাদক ভূপেন রায় বাসুনিয়া বলেন, “গ্রামের বহু বাসিন্দা আছেন, যাঁদের সংবাদপত্র কেনার সামর্থ নেই। তাই তাঁরা এখন সংবাদপত্রগুলি পড়তে আসছেন না। এই পাঠাগারটিতে দুটি সংবাদপত্র রাখা হত, তার একটি প্রকাশিত হচ্ছে না।” কাশিয়াবাড়ি পাঠাগার, দেওয়ানগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার, বগরিবাড়ি সুভাষ পাঠাগারে একটি অথবা দুটি সংবাদপত্র থাকছে। দেওয়ানগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার পরিচালন সমিতি সম্পাদক ব্রজেন্দ্রনাথ দেবঅধিকারী, কাশিয়াবাড়ি পাঠাগারের পরিচালন সমিতির সম্পাদক নিতাইপদ রায় বলেন, “এই ব্যাপারে আদালতের রায় পেলেই আমরা বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলি রাখা শুরু করব।”
|
পুরনো খবর: ‘মুক্ত চিন্তা’র সংবাদপত্র তালিকা নিয়ে বিতর্ক |
|
|
|
|
|