|
|
|
|
জল কমছে গঙ্গায়, স্বস্তি বানভাসিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গঙ্গার জল কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা কবলিত মানিকচক, কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে বানভাসিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তবে বহু এলাকায় এখনও জলের নিচে রয়েছে। তবে ত্রাণ অপ্রতুল বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। মানিকচকের গোপালপুরে বানভাসিরা নিজেরাই খাবার রান্না করে ডিঙি করে সেই খাবার জলবন্দিদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। দুর্গতদের অভিযোগ, “কয়েকদিন ত্রাণ দেওয়ার পর গঙ্গার জল কমতে দেখে প্রশাসনের কেউ আর খোঁজ নিতে আসেননি।” জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অমরেশ কুমার সিংহ জানান, জল কমলেও এখন গঙ্গার জলস্তর চরম বিপদ সীমার ৮ সেন্ডিমিটার উপর দিয়ে বইছে। মানিকচক, কালিয়াচক ৩ ব্লকে গঙ্গায় লাল সতর্কতা রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক নীলকমল বিশ্বাস বলেন, “ত্রাণ নিয়ে তো কারও অভিযোগ থাকার কথা নয়। |
|
বাঁধ-ভাঙা জলে বন্দি মানিকচকের গোপালপুর। তার মধ্যেই নৌকায় ঘুরে ঘুরে
রান্না করা খাবার বিলি করছেন বাসিন্দারা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
বন্যা কবলিত এলাকায় ৯ হাজার পলিথিন, ২৫০ কুইন্টাল চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ৫০০ পরিবারকে জামাকাপড় ও শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে। বিডিও ত্রাণের বিষয়টি সবসময় দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।” বন্যা কবলিত এলাকায় কলিয়াচক ৩ নম্বর শোভাপুর, পারদেওনাপুর ও মানিকচকে পাঁচ হাজার বানভাসিকে জামাকাপড়, ধূতিশাড়ি, লুঙ্গি ও চিড়াগুড় বিলি করেছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠনের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই ত্রাণ যথেষ্ট নয় তা জানি। সেই কারণে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় জামাকাপড় ছাড়াও শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: মালদহে বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে গঙ্গা |
|
|
|
|
|