|
|
|
|
দ্রুত বরাদ্দ মঞ্জুরির আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য, দাবি কোচবিহার পুরসভার |
শহর সাজাতে ১২ কোটির প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
ত্রিফলা আলোর মিশেলে গোটা শহর সাজাতে এবং নিকাশি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে কোচবিহার পুরসভা। চলতি মাসে রাজ্য পুর দফতরে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত মঞ্জুরির আশ্বাসও মিলেছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ইংরেজি নববর্ষের আগে কোচবিহার শহরকে সাজিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বলেছেন, “শহরের সৌন্দর্যায়ন এবং নিকাশি পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে প্রকল্প তৈরি হয়েছে। শহরের একাধিক ব্যস্ততম রাস্তায় ডিভাইডার বসানোর মতো পরিকল্পনাও রয়েছে। পুর দফতর থেকেও প্রয়োজনীয় আশ্বাস মিলেছে। ফলে আগামী ইংরেজি নতুন বছরের আগেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করা হবে।” শহরে কেশব রোড, এন এন রোড, দিনহাটা রোডের পাশাপাশি সুনীতি রোড এলাকার একাংশে নতুন করে ডিভাইডার বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে কেশব রোড এলাকায় কাছারি মোড় থেকে গুঞ্জবাড়ি মোড়, সুনীতি রোডে পুলিশ লাইন চৌপথি থেকে স্টেশন মোড়, এনএন রোডে পাওয়ার হাউস চৌপথি থেকে রেলগেট পর্যন্ত এলাকায় ডিভাইডার বসানো হবে। দিনহাটা রোডেও ডিভাইডার বসানো হবে। সে সব বসানোর পরে শহরে ত্রিফলা আলো লাগানোর কাজ শুরু হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা ডিভাইডার এবং আলোয় সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে রাতের কোচবিহার শহর আরও বেশি পর্যটক চানবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
শহরে আরও দুটি হাইড্রেন তৈরি করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রেলগুমটি লাগোয়া এলাকা থেকে মরা তোর্সা পর্যন্ত ওই হাইড্রেনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ কিলোমিটার। ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তৈরি হবে অন্য হাইড্রেনটি। চেয়ারম্যান বীরেনবাবু বলেন, “ব্যাঙচাতরা রোড থেকে মরা তোর্সা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ হাইড্রেনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কাজ শেষ হলে নিকাশি ব্যবস্থা পুরপোপুরি বদলে যাবে। বেশি বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার সমস্যাও আর থাকবে না।”
যদিও পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেছেন, “উন্নয়ন হলে খুশি হব। কিন্তু যতক্ষণ কাজ বাস্তবায়িত না হচ্ছে ততক্ষণ নিশ্চিত হতে পারছি না। এমন নানা পরিকল্পনার কথা আগেও শুনেছি।”
|
পুরনো খবর: আলো-সাজে সওয়া কোটি |
|
|
|
|
|