|
|
|
|
উত্তরের কংগ্রেসে আবার ফাটল ধরাল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের পরে উত্তরবঙ্গের কংগ্রেসে ভাঙন ধরানো অব্যাহত রাখল
তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেস-দুর্গ ছেড়ে রবিবার প্রায় শ’তিনেক নেতা-কর্মী রবিবার তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁদের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজয়ী অনেক কংগ্রেস প্রার্থীও রয়েছেন বলে মুকুলবাবুর দাবি।
কংগ্রেস-ত্যাগীদের দলে রয়েছেন কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অলোক চক্রবর্তীও। তাঁকে আগামী দিনে উপযুক্ত পদ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে বলে মুকুলবাবু জানান। পঞ্চায়েত ভোটের পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহার পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান-সহ ৬ কাউন্সিলর।
লোকসভা ভোটের আগে দীপা দাশমুন্সির খাস তালুক উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূল যে আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া, তার ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে মুকুলবাবুর কথায়। ওই জেলার আরও কংগ্রেস কর্মী তাঁদের দলে আসবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বিজয়ী কংগ্রেস সদস্যদের নিজেদের দলে আনার পাশাপাশি তৃণমূল যে উত্তর দিনাজপুরে জেলা পরিষদ গঠনেও নির্ণায়ক শক্তি হওয়ার চেষ্টা করছে, তা-ও মুকুলবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে ১৩টি আসন বামেরা পেয়েছে। কংগ্রেস ৮টি এবং তৃণমূল পাঁচটি আসন পেয়েছে। কংগ্রেসে ফাটল ধরিয়ে তৃণমূল এখন চেষ্টা করছে বোর্ড গঠনের। মুকুলবাবু বলেন, “উত্তর দিনাজপুরের পঞ্চায়েত সমিতির
বিজয়ী অনেক প্রার্থী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের অনেক সভাপতি, উপ-সভাপতি তৃণমূলে যোগ দিলেন। জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গেও কথা চলছে।”
জেলার বাম-বিরোধী শক্তিকে নিজেদের অনুকূলে আনতে মুকুলবাবুর আবেদন, “উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ গঠনে তৃণমূল নির্ণায়ক ভূমিকায় রয়েছে। বোর্ড গড়ার লড়াইয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করুন।”
যদিও দলে ভাঙনের কথা অস্বীকার করে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের পাল্টা দাবি, “এ দিন কেউ কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাননি। তৃণমূল অপপ্রচার করছে!”
আইএনটিইউসির-র অলোকবাবু দাবি করেছেন, বাম-বিরোধিতা থেকে কংগ্রেস সরে আসায় তাঁকে দলত্যাগ করতে হয়েছে। তবে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারের দাবি, “অলোকবাবু দলের কোনও সদস্য ছিলেন না। জেলা তো দূরের কথা, ব্লক কংগ্রেসের কোনও পদে তিনি ছিলেন না। তা হলে কংগ্রেস ছাড়ার প্রশ্ন উঠছে কেন?”
অলোকবাবু জেলা আইএনটিইউসি-র পদ ছাড়েননি বলে শঙ্করবাবুর অভিযোগ।
অলোকবাবুর জবাব, তিনি যে পদ ছাড়তে চান, তা সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি সঞ্জীব রেড্ডিকে তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি বলে অলোকবাবুর দাবি। তাঁর বক্তব্য, “আইএনটিইউসি-র সংবিধান মেনে যে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা এই শ্রমিক সংগঠনে থাকতে পারে বলে রেড্ডি আমাকে জানিয়েছেন। আমাকে সে জন্য সংগঠন ছাড়তে নিষেধ করেন উনি।” তবে ফের এ ব্যাপারে সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান অলোকবাবু। |
|
|
|
|
|