ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘরকন্নার জিনিসপত্র। মেছোভেড়ি মাছ ভেসে গিয়ে পুজোর আগে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়ে মাথায় হাত মৎস্যচাষির। ঘর ভেঙে যাওয়ায় ত্রাণ হিসাবে অনেকে পলিথিন পেয়েছেন বটে কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। খোলা আকাশের নীচে পলিথিন টাঙানোর জায়গা কোথায়? চারপাশেই জল। ওই ভাবেই পরিবার নিয়ে দিন কাটছে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বেড়মজুর গ্রামের রহমত সর্দারের মতো অনেকের। খাবার বলতে জুটছে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্যবস্থা করা খিচুড়ি খেয়ে। গত ২০ অগস্ট রামপুর নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ওই সব এলাকা। |
ঘর বাঁচানোর চেষ্টা। |
ঘর ভেঙে যাওয়ায় পলিথিনের নীচেই সংসার। |
|
রহমত সর্দারের কথায়, “বাঁধের কাজ শুরু হলেও জল সরার কোনও লক্ষণ নেই। পানীয় জলের অভাব দেখা গিয়েছে। দেখা দিয়েছে রোগবালাই। শিশু খাদ্যেরও অভাব রয়েছে।” রহমতের মতো অভিজ্ঞতা গফ্ফর মোল্লা, নুর আনিল গাইন, খালেক বৈদ্য, আলেয়া বিবির, খাদিজা খাতুনেরও।
বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “শনিবার থেকে সেচ দফতরের পরামর্শে গ্রামবাসীদের নিয়ে সরবেড়িয়া -আগারআটি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শালবল্লা পুঁতে প্রায় তিনশো ফুট এলাকায় রিং বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্লাবনে প্রায় চারশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দু’টি ত্রাণ শিবিরে আপাতত ১২০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গতদের জন্য ২৫০টি পলিথিন, প্রয়োজনীয় চাল দেওয়া হয়েছে।” |