সাইনা আর সিন্ধুর মধ্যে ফাইনাল হলে গোপীচন্দ স্রেফ গ্যালারিতে বসে ম্যাচটা উপভোগ করবেন। কারণ, সেক্ষেত্রে সেই টুর্নামেন্টের সোনা-রুপো দুটোই তাঁর! এমনই উপলব্ধি ভারতের দুই সুপারস্টার ব্যাডমিন্টন-কন্যার কোচের। “অলিম্পিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বা কোনও সুপার সিরিজে এমনটা ঘটলে আমি সত্যিই খুব খুশি হব। সেটাই আমার স্বপ্ন। ওরা দু’জনই গ্রেট। সাইনা-সিন্ধু মিলে বাকি ব্যাডমিন্টন-বিশ্বের চ্যালেঞ্জ যে ভাবে নিচ্ছে আর ভবিষ্যতেও বহু বছর নেবে সেটা একটা অসাধারণ ব্যাপার,” এক ওয়েবসাইটে বলেছেন পুল্লেলা গোপীচন্দ। |
তাঁর দুই প্রিয় ছাত্রীর মধ্যে কোথায় মিল? কোথায়ই বা অমিল? সাইনা-সিন্ধুর গোপীস্যর বলছেন, “পরিশ্রমের দিক দিয়ে সাইনা অনেকটাই এগিয়ে। সিন্ধু সেখানে বাচ্চা। ও যেন একটা শিশু শ্রমিক! কোচিং ম্যানুয়াল মানলে আর দীর্ঘমেয়াদি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের দিকে তাকালে সতেরো-আঠারো বছরে কোনও প্লেয়ারকে টপ লেভেলে লড়াই করতে নামানোটা ঠিক নয়। কিন্তু উপায় নেই। সাইনা ষোলো বছরে গ্রাঁ প্রি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সিন্ধু আঠারো বছরে সিনিয়র বিশ্ব মিটে পদক জিতল।” গোপীর মতে, সাইনার চেয়ে সিন্ধু একটা জায়গায় আলাদা। “বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জেতার পর এখন ওর ওপর সবার চোখ। সাইনার সঙ্গে সব সময় তুলনা করা হচ্ছে। যে ব্যাপারটা সাইনা অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পাওয়ার পর ছিল না। কারণ তখন সাইনাই ছিল পথিকৃত। ওর কোনও পূর্বসূরি ছিল না।”
দু’জনের খেলায় এখনও কোথায় দুর্বলতা? গোপীর ব্যাখ্যা, “সাইনার ফোরহ্যান্ড স্ট্রোক আর নেটের সামনে খেলায় আরও উন্নতির জায়গা আছে। নেট প্লে-তে পুরোপুরি এঁটে উঠতে পারছে না বলে কোর্টের দু’টো কোণে বেশি স্ট্রোক খেলার ওপর ওর ট্রেনিং চলছে। প্রচুর ব্যাকহ্যান্ড মারছে। আর সিন্ধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সেমিফাইনালে রাতচানকের বিরুদ্ধে যতই স্ম্যাশ মেরেছে সব ফেরত আসছে দেখতে দেখতে একটা সময় হতাশ হয়ে পড়ে হেরেছিল! তা-ও বলব, ও এই বয়সে যে রেজাল্ট করেছে সেটা অসাধারণ! দুর্বলতাগুলো দূর করার অনেক সময় আছে ওর সামনে। তার জন্য আমি দেড় বছর সময় ধরেছি।” |
আইবিএলে সিন্ধু বনাম বিশ্বের তিন
(রাত ৮-০০ ইএসপিএন)
|
জ্বালা নামলেন, জিতল দিল্লি |
অবশেষে আইবিএল কোর্টে দেখা গেল ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের বিতর্কিত চরিত্র তথা গ্ল্যামার গার্ল জ্বালা গাট্টা-কে। কাঁধের চোটে এত দিন দিল্লি স্ম্যাশার্সের আইকন-কে কোর্টের ধারে সতীর্থদের জন্য গলা ফাটাতেই কেবল দেখা গিয়েছে। রবিবার বেঙ্গালুরুর এয়ার কন্ডিশন ব্যবস্থা-হীন ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাহুল দ্রাবিড় নিজের শহরের দলকে উৎসাহ দিতে এসেছিলেন। তা-ও বঙ্গা বিটস-কে এক ম্যাচ পিছিয়ে পড়েও দিল্লি ৪-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে থাকল। ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সমেত। ৩-১ এগিয়ে ‘টাই’ পকেটে পুরে ফেলার পর নিয়মরক্ষার মিক্সড ডাবলসে জ্বালা নামেন। জাতীয় সতীর্থ দ্বিজু-কে নিয়ে জিতলেন। বঙ্গা বিটসের একমাত্র জয় দেশের সেরা পুরুষ ব্যাডমিন্টন তারকা পারুপল্লি কাশ্যপের। বেঙ্গালুরুর দল বরং বেশি নজর কাড়ে এই ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে। বঙ্গা বিটসের ক্ষোভ, দিল্লি স্ম্যাশার্স এক প্লেয়ারের চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে সিঙ্গলস ম্যাচে খেলোয়াড় বদল করেছিল। |