নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুকের গুলিতে রোজভ্যালীর এক এজেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় নৈশপ্রহরী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করেছে চাকুলিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চাকুলিয়া রোজভ্যালীর শাখার ভিতরে গুলি চালানোর ঘটনার পর পুলিশ ওই সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করে। তার পরে বাকিদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন মজিবুর রহমান, কামরুল জামা ও লালচাদ সাহানি। কামরুল ওই সংস্থার চাকুলিয়া শাখার নিরাপত্তারক্ষী। তাঁকেই প্রথম ধরে পুলিশ। মজিবুর সংস্থার নৈশপ্রহরী।
শুক্রবার তাদের ইসলামপুর অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক বিকাশ লামা ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক নিয়ে ট্রিগার আরও দুই অভিযুক্ত চাপ দেওয়ার ফলেই গুলি বার হয়ে মৃত্যু হয়েছে আবদুল কায়েম (২৮) নামে ওই এজেন্টের। চাকুলিয়ার ওসি গৌতম রায় বলেন, “তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়।” এদিন ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাতে স্কুল, অফিস ও বাজার বন্ধ রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। রাজ্যসড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
তবে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন নৈশপ্রহরী মজিবুর রহমান। তিনি আদালতে জানান, কাজের ফাঁকে সবাই হাসি ঠাট্টা করছিলেন। হঠাতই নিরাপত্তারক্ষী বন্দুকটি নামিয়ে রেখে বাথরুমে যান। সে সময় বন্দুক নাড়াচাড়া করতে গিয়েই ট্রিগারে হাত পরে গুলি বার হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত ওই কাজ করিনি। একই কথা বলেছেন ধৃচ লালচাঁদ সাহানিও।
নিরাপত্তারক্ষী কামরুল অবশ্য বলেন, “প্রতিদিনই বন্দুক রেখে বাথরুমে যাই। ওরা শাখার কর্মী বলে ওঁদের সামনে রেখে গিয়েছিলাম। এমনকি সেফটি সুইচ বন্ধ করা ছিল। তবে সেটি কিভাবে খুলল তা বুঝতে পারছি না। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি ওই ঘটনা ঘটেছে।” এদিন ইসলামপুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন রোজভ্যালীর আইনজীবী সুব্রত সরকার। তিনি জানান, আমাদের এক প্রহরী কিছু সময়ের জন্য বন্দুক রেখে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় নৈশপ্রহরী বন্দুক নাড়াচাড়া করার সময় ওই ঘটনা ঘটেছে।
|