গত বুধবার গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার তিতপুকুর এলাকায় মিডডে মিলের চাল চুরি করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগের পর দুই দিন পার হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। জেলা দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি জ্যোতিষ রায় বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই চাল আপাতত উদ্ধার করে রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” ওই রাতে মিডডে মিলের চাল চুরি করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে এক হোটেল ব্যবসায়ী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে করল পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌমেন মোহান্ত, দেবাশিস মণ্ডল ও তপু দাস। তাদের বাড়ি করণদিঘি ও রায়গঞ্জে। সৌমেনবাবুর তিতপুকুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল রয়েছে। দেবাশিসবাবু ও তপুবাবু মিডডে মিল চাল সরবরাহকারী ট্রাকের চালক ও খালাসি। প্রায় ৪৩ টন মিডডে মিলের চাল উদ্ধার হয়। রাতে খাদ্য দফতর নিয়ন্ত্রিত রায়গঞ্জের ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার গুদাম থেকে তিনটি ট্রাকে প্রায় ৪৫ টন চাল বোঝাই করে চালক ও খালাসিরা ইসলামপুর ও ডালখোলা রওনা দেন। দুটি ট্রাকের চাল ডালখোলা এমআর ডিস্ট্রিবিউটার দামোদরপ্রসাদ অগ্রবাল ও একটি ট্রাকের চাল ইসলামপুরের এমআর ডিস্ট্রিবিউটার শিবির মণ্ডলের কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল। অভিযোগ, রাতে ইসলামপুর ও ডালখোলা যাওয়ার পথে তিনটি ট্রাকের চালক ও খালাসি তিতপুকুর এলাকায় সৌমেন বাবুর হোটেলে তিনটি ট্রাক থেকে একাংশ করে চাল চুরি করে বিক্রির চেষ্টা করে। এমআর ডিষ্ট্রিবিউটার দামোদরবাবু ও শিবিরবাবু বলেন, “চালক খালাসিরা হোটেল মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে মিডডে মিলের সরকারি চাল বিক্রির চেষ্টা করেছিল বলে জানতে পেরছি। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিষ্ট্রিবিউটার অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সভাপতি ডুঙ্গরমল অগ্রবাল জানান, খাদ্য দফতরের গুদাম থেকে ট্রাকে বোঝাই করে ডিস্ট্রিবিউটরদের ঘরে পৌঁছানোর আগে দীর্ঘদিন ধরেই একশ্রেণির চালক ও খালাসি ট্রাকের চাল ও গমের একাংশ চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। চাল ও গমের বস্তায় জল ঢেলে ওজন বাড়িয়ে দেওয়া হত। |