টুকরো খবর
ছাত্র বাড়লেও শিক্ষক কম, নেই অধ্যক্ষও
প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এক বছরের বেশি সময় স্থায়ী অধ্যক্ষ নেই। স্থায়ী শিক্ষকের ৪১টি পদের মধ্যে ১৭টি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। শুধুমাত্র আংশিক বিভাগের শিক্ষকেরা দুটি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। টানা তিন বছর থেকে নেই প্রয়োজনীয় ক্লাসঘর। পাস কোর্সের একাধিক বিষয়ে ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হলে ঘরে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। পর্যাপ্ত শিক্ষক ও পরিকাঠামোর অভাবে দিনহাটা কলেজে পঠনপাঠন ব্যাহত। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাধন কর বলেন, “কলেজের স্থায়ী শিক্ষকের ১৭টি পদ দ্রুত পূরণ করা দরকার।” কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য অসীম নন্দী বলেন, “শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।” কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কলেজে স্থায়ী শিক্ষক ২৪ জন। ভূগোল ও সংস্কৃত বিষয় চালুর পর তিন বছর কেটে গেলেও স্থায়ী শিক্ষকের একটি করে অনুমোদিত পদ পূরণ হয়নি। আংশিক সময়ের শিক্ষক দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ইতিহাস, দর্শনের একটি করে শিক্ষক পদ খালি। অঙ্ক ও ফিজিক্স বিষয়েও দুটি করে শিক্ষক পদ খালি। কেমেস্ট্রি, বোটানি ও জুওলজি বিভাগ চলছে মাত্র একজন করে স্থায়ী শিক্ষক দিয়ে। কমার্সেও ৫ জন স্থায়ী শিক্ষকের মধ্যে ৩টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। শিক্ষকদের কেউ ছুটি নিলে কিংবা জরুরি কাজে বাইরে গেলে ক্লাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এ বার প্রথম বর্ষে ৩০০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হন। সবমিলিয়ে সংখ্যা ৭০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ক্লাসঘর রয়েছে মাত্র ২৫টি। রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেব। আর একটি কলেজ গড়ার চেষ্টা হচ্ছে।”

সহবাসের ছবি তুলে ধর্ষণ, ধৃত ছবি-শিক্ষক
এক কিশোরীর শারীরিক সম্পর্ক গড়ে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার খাগরাবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম শঙ্কর সাহা। খাগরাবাড়ির সোনার বাংলা কলোনির বাসিন্দা শঙ্করবাবু ছবি আঁকা শেখানোর শিক্ষক হিসাবে পরিচিত। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’বছর থেকে তার কাছে ছবি আঁকা শিখত নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী। মাস ছয়েক আগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ। পরে মোবাইলে তোলা ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি দফায় দফায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরী সমস্ত কিছু পরিবারের লোকদের জানান। এ কথা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশকে নালিশ জানানোর পরে শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সবাল বলেছেন, “ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার অবশ্য সে বাড়ি ফিরেছে। অন্য দিকে পুলিশের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

বেকারদের আপ্যায়নের প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য
বিভিন্ন পযর্টন এলাকায় দেশি-বিদেশি পযর্টকরা ঘুরতে এসে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ। এ বার থেকে পযর্টকদের ঘুরতে অসুবিধায় যাতে না পড়তে হয়, সে জন্য বেকার যুবক-যুবতীদের অতিথি আপ্যায়নের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে রাজ্যের পযর্টন দফতর। শুক্রবার মালদহ টুরিষ্ট লজে ছয় সপ্তাহের প্রশিক্ষণের সূচনা করেন পযর্টনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “রাজ্যে প্রতি বছর ছয় লক্ষের বেশি পর্যটক আসেন। অথচ আমাদের রাজ্যে হোটেল কর্মীদের সেই রকম প্রশিক্ষণ সাধারণত থাকে না। নানা তথ্য তাঁরা পর্যটকদের হাতে তুলে দিতেও অনেক সময় পারেন না। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে।” মন্ত্রী জানান, এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা এই বিষয়ে পিছিয়ে। আমাদেরও দুবর্লতা রয়েছে। এই প্রশিক্ষণের পরে ওই যুবকেরা সরকারি কিংবা বেসকরারি হোটেলে কাজের অগ্রাধিকার পাবেন। মালদহে এ দিন ৫৬ জন বেকার যুবক যুবতীকে ট্রেনিং দেওয়া শুরু হল। এই বছর রাজ্যে দুই হাজার বেকার যুবক যুবতীদের রাজ্যের ১৪টি টুরিস্ট লজে ট্রেনিং দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম থেকে পর্যটনে জোর দিয়েছেন। রাজ্য পযর্টন দফতরের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ভীষ্মদেব দাশগুপ্ত এ দিন জানিয়েছেন, অগস্ট মাসে দার্জিলিংয়ে ৫ লক্ষ পযর্টক বুকিং করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের জেরে ৮০ শতাংশের বেশি পযর্টক বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। এতে পযর্টনে প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ দিন রাজ্যের পযর্টনমন্ত্রী বলেন, “বহু পযর্টকের কথা মাথায় রেখে দার্জিলিং জেলা জুড়ে আন্দোলন বন্ধ করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে গুরুঙ্গরা রাজি হবেন বলে আমি মনে করি।”

আদালতের নির্দেশে নির্মাণ ভাঙল পুলিশ
আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ৮ বছর পরে নিজেদের বাড়ির জায়গা ফিরে পেলেন শ্যামাপদ সরকার ও তাঁর স্ত্রী রিক্তাদেবী। তাঁদের বেদখল করে সেখানে তাঁদেরই আত্মীয় প্রণয় সরকারের অবৈধভাবে নির্মিত করা পাকা বাড়িটিও আদালতের নির্দেশে পুলিশ ভেঙে দেয়। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার পতিরামের নীচাবন্দর এলাকার ঘটনা। এদিন সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আদালত নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিক, মহিলা এবং সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে অবৈধ দখলদারকে হটিয়ে জায়গার প্রকৃত মালিককে দখল দেওয়া হয়। শ্যামাপদবাবুর পক্ষের আইনজীবী বিদ্যুত রায় জানান, শ্যামাপদবাবুরা গত ২০০৫ সালে তাদের এক আত্মীয় প্রণয় সরকারকে তাদের জায়গায় বসবাসের সাময়িক অনুমতি দেন। কিন্তু পরে তাদের মালিকানা অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রণয়বাবু সেখানে পাকা বাড়ি তৈরি করে জোর করে বাস করতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর শ্যামাপদবাবু বালুরঘাটের সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশন আদালতের দ্বারস্থ হন। শ্যামাপদবাবু বলেন, “এই ঘটনায় আদালতের উপর মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।” এ দিকে দখল করায় অভিযুক্ত পেশায় এনভিএফ কর্মী প্রণয়বাবুর বক্তব্য, “শ্যামাপদবাবু আমার আত্মীয়। জোর করে বসবাস করার অভিযোগ ঠিক নয়।”

নাবালিকাকে উদ্ধার
এক যুবকের সহায়তায় শুক্রবার বিকালে মালদহের নিষিদ্ধপল্লি থেকে বিক্রি হয়ে যাওয়া বিহারের ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ আপাতত ওই নাবালিকার পরিবারকে খবর দিয়ে তাঁকে সরকারি হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এই দিন বলেন, “ওই যুবক নিজে থেকে যদি আমাদের খবর না দিতেন তবে পুলিশ ওই নাবালিকাকে কোনও ভাবেই উদ্ধার করতে পারত না।” প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের ফরবেশগঞ্জের এক চাটাই ব্যবসায়ীর নাবালিকা মেয়ের দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বিহারের আরারিয়া গ্রামে। গত রমজান মাসে স্বামীর অনুপস্থিতিতে এক প্রতিবেশী তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে মালহের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁকে কিছু খাইয়ে অচৈতন্য অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাকে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়। এমনকী, ওই কিশোরীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। যে যুবকের মাধ্যমে ওই নাবালিকা রেহাই পেয়েছে, তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পল্লিতে যাওয়ার পরেই মেয়েটি পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। তিনি তা মোবাইলে রেকর্ড করে চাইল্ড লাইন সদস্যদের শোনান। চাইন্ড লাইনের তরফে ইংরেজবাজার থানায় গোটা বিষয়টি জানানো হয়।

ডেকে এনে খুন
টাকার জন্য এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে বামনগোলা থানার নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম বিপ্লব রায় (২২)। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত বিনোদ সরকার পালিয়ে গিয়েছে। ঘঠনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বামনগোলার আদাডাঙ্গা গ্রামের বিনোদ সরকার প্রতিবেশী বিপ্লব রায়কে ১২ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। কথা ছিল ছয় মাসের মধ্যে টাকা ফেরৎ দিতে হবে। কিন্তু এক বছর পরে টাকা বিপ্লব ফেরৎ দেয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে বিনোদ বাড়ি থেকে বিপ্লব রায় ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। টাকা নিয়ে দুইজনের মধ্যে বচসা শুরু হতেই বিনোদ লোহার রড দিয়ে বিপ্লব রায়ের মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় বিপ্লব লুটিয়ে পড়লে বিনোদ পালিয়ে যায়। এরপর জখম বিপ্লব রায়কে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাতে তিনি মারা যান।

পঞ্চায়েতের প্রশিক্ষণ
আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রধান এবং উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণ। এবারে জেলায় সিংহভাগ গ্রামপঞ্চায়েত মহিলাদের দিয়ে পরিচালিত হবে। জেলায় ৬৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩৭ জন মহিলা প্রধান পদে এবং ১৪ জন মহিলা উপপ্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মৃত ২
ট্রাক ও ছোট গাড়ির সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙার কলেজমোড় এলাকায়। মৃতদের নাম দিলীপ সরকার (২৬), নির্মল সরকার (২২)। তাঁদের বাড়ি কোচবিহারের চান্দামারিতে। ঘটনায় আরও ২ জন জখম হন। তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে এ দিন সকালে বাড়ি ফিরছিলেন দিলীপবাবুরা। সেই সময় কলেজমোড়ে উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়।

এজেন্টের মৃত্যু, ধৃত
উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালীর দফতরে রক্ষীর বন্দুকের গুলিতে এক এজেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে ধরেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.