লস্কর-ই-তইবার সন্দেহভাজন জঙ্গি সন্দেহে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার পাতনোর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম, মহম্মদ বাসিরুদ্দিন। বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার কোদিয়া থানার সানোলি এলাকায়। বুধবার রাতেই জাল নোট চক্রের সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তইবার সন্দেহভাজন লিঙ্কম্যান মহম্মদ আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করেই বাসিরুদ্দিনের কথা জানতে পারে পুলিশ। তাকেও শুক্রবার ভোরে করণদিঘি এলাকা থেকে পুলিশ ধরে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন বাসিরুদ্দিনের সহযোগী হিসেবেই কাজ করত। জেলা পুলিশ সুপার অখিলশ চর্তুবেদী বলেন, “আলাউদ্দিনকে জেরা করে বাসিরুদ্দিনের কথা জানা যায়। এ দিন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।” সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দোপাধ্যায় জানান, এ দিন ধৃতকে অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক বিকাশ লামা ধৃতকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৮৯(বি), ৪৮৯(সি) ও ১২০(বি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, বাসিরুদ্দিন এলাকায় জাল নোট চক্র-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আলাউদ্দিনের সঙ্গে ওই ব্যক্তির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, ১৯৯৮ সালের দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল বাসিরুদ্দিন, আলাউদ্দিনরা। তার পরই দিল্লি পুলিশের আশঙ্কায় তারা দিল্লি থেকে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদ্রাসায় থাকার পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় ইমামের কাজ করত বাসিরুদ্দিন। ১২ বছরেরও বেশি সময় সে বাংলাদেশে ছিল বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। সম্প্রতি করণদিঘি রসখোয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়েই সে ভারতে প্রবেশ করে বলে অনুমান। জানতে পারা গিয়েছে, জঙ্গিদের নিয়োগ-সহ এলাকায় টাকা পাচার-সহ বহু অপরাধে যুক্ত ছিল বাসিরুদ্দিন।
|