বকেয়া টাকা না পাওয়ায় শুক্রবার থেকে সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার ঠিকাদারেরা। এতে শহরের বিধান মার্কেটে মুরগিহাটির কংক্রিটের রাস্তা তৈরির কাজও আপাতত বন্ধ হয়ে গেল। বকেয়া টাকা না পাওয়া না পর্যন্ত কোন ভাবেই তাঁরা কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারদের সংগঠন। তাঁরা জানান, গত পুজোর পর সামান্য কিছু টাকা পেলেও মার্চ মাসের পর থেকে কোন টাকা মেলেনি। এতে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মেয়র ও পুর কমিশনারের ঘরের সামনে তাঁরা অবস্থানে বসেন। শুক্রবারও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান করেন। ঠিকাদারদের সংগঠনের মুখপাত্র বিজন দাস বলেন, “যতদিন না আমরা সব টাকা হাতে পাব, ততদিন অবস্থান চলবে। বকেয়া টাকা চেয়ে বহুবার সকলকে জানিয়েছি। কোন কাজ হয়নি।” বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে এদিন জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।
এ দিন মেয়রের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁকে স্মারকলিপিও দেন ঠিকাদারেরা। সেখানেও তাঁরা কাজ না করার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “ঠিকাদারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওদের বলেছি, কিছু প্রকল্পের টাকা তাঁদের দেওয়া হবে। কাজ বন্ধ না করার জন্য বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করব।” ঠিকাদারেরা জানান, সামান্য টাকা নিয়ে কেউ কাজ শুরু করবেন না। যা বকেয়া রয়েছে তাঁর পুরোটাই দিতে হবে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রায় ৩৫০ জন ঠিকাদার রয়েছে। সবার অবস্থা খারাপ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না পুরসভার ঠিকাদার কুন্তল সেন। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির জন্য চলছেই পরস্পরকে দোষারোপের পালা। কংগ্রেসের তরফে এই অবস্থার জন্য রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকেই দায়ী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারই আর্থিক নির্দেশিকা জারি করে কাজ করতে দিচ্ছে না বলে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসী বোর্ডের অভিযোগ। তৃণমূলের বক্তব্য, বোর্ডে ক্ষমতায় থাকা পরেও বাজেট পাশ করতে পারেনি কংগ্রেস। বাজেট পাশ না হলে কি করে নতুন কোন কাজ করবে এই বোর্ড। কার্যত একই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে দু’পক্ষই। এ ভাবে সংখ্যালঘু বোর্ড নিয়ে বসে রয়েছে কংগ্রেস।”
হাতির হানা। হাতির হানায় ক্ষতি হল ৫টি বাড়ির। তিন একরেরও বেশি ধানের জমির ক্ষতি হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডুয়ার্সের গজলডোবার ৭ নম্বর কলোনি এলাকায় ৪টি হাতির একটি দল তান্ডব চালায়। এলাকার ৫টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে হাতির দল ধানখেতে নেমে যায়। আমনের ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় চাষিরা জানান। তারঘেরার জঙ্গল থেকে হাতির দল গজলডোবায় ঢুকেছিল বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
পুরনো খবর: আন্দোলনে ঠিকাদারেরা |