নিম্নচাপের ফাঁড়া আপাতত কেটেছে। তবু কোথাও কোথাও সকালে অল্প বৃষ্টি হয়েছে। আবার বেলা বাড়তেই মিঠে কড়া রোদ্দুর, ঝলমলে আকাশ যেন পুজোর বার্তা এনে দিচ্ছে। বাঁকুড়ায় শুক্রবারের আবহাওয়া ছিল এমনটাই।
এ দিন দুপুর থেকে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার হার ৫০ হাজার কিউসেক থেকে কমিয়ে ৩৫ হাজার কিউসেক করা হয়। তবে, দক্ষিণ বাঁকুড়ার অন্যত্র রাস্তা থেকে জল সরে গেলেও কংসাবতীর জল খাতড়ার কেচোন্দাঘাটে নিচু কজওয়ের উপর দিয়ে বইতে থাকায় খাতড়া-আকখুটা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে খাতড়া থেকে রানিবাঁধ, বারিকুল ও রাইপুর যেতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। রানিবাঁধের দেউলি শুক্লা হাইস্কুলের শিক্ষক সম্পদ খাঁড়াত বা রাইপুর বিএড কলেজের শিক্ষক অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়দের ক্ষোভ, “জলাধার থেকে জল ছাড়লেই আমাদের কর্মস্থলে যেতে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। ঘুরপথে যেতে গিয়ে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। কংসাবতীর উপরে কেচোন্দাঘাটে সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আমাদের এই অসুবিধা দূর হত।” অন্য দিকে, বারিকুলের অমৃতপাল গ্রামের কাছে ভৈরববাঁকি নদীর জল কজওয়ের নীচে নেমে যাওয়ায় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম সড়কে সকাল থেকে যান চলাচল শুরু হয়।
খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভেন্দু বসু বলে, “মুকুটমণিপুর জলাধারে জলস্তর কিছুটা কমেছে। এ দিন দুপুর পর্যন্ত জলস্তর ছিল ৪৩৬.৩৫ ফুট। এখনও জলস্তর বিপদসীমার উপরেই রয়েছে।” কংসাবতী সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভারী বৃষ্টি না হলে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ধাপে ধাপে কমানো হবে।
|