দাঁইহাটে দিদি-বোনের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে আদিবাসী যুবক খুনের ঘটনায় ধৃত মোস্তাফা শেখ আগে পুলিশের হয়ে চরের (ইনফর্মার) কাজ করত। তাই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করছে না। এমনই সন্দেহে শুক্রবার কাটোয়া মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি মাড়ওয়া।
গত ৪ অগস্ট দাঁইহাটের কাছে পশ্চিম নসিপুরে দিদি ও বোনের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন গণেশ মুর্মু। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের জামাইবাবু মোস্তাফা শেখ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। বিক্ষোভে আসা আদিবাসীদের তরফে জেলা সভাপতি পৃথ্বী মুর্মু বলেন, “পুলিশ যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের এক জন পুলিশের ইনফর্মার। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ঠিক তদন্ত করছে না।”
গত ১৪ অগস্ট আদিবাসী সংগঠনের জেলা নেতারা দাইহাঁটের পশ্চিম নসিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। সে দিনই কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে একটি আলোচনায় দোষীদের শাস্তি ও নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ দিন রায়না, মেমারি, আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, পূর্বস্থলী ও কাটোয়ার ১৫টি সংগঠনের প্রায় তিন হাজার মানুষ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হন। লাঠি, রামদা, তির-ধনুক, তরোয়াল নিয়ে মিছিল করে তাঁরা মহকুমাশাসকের দফতরে যান। সঙ্গে ছিল ধামসা-মাদল। তাঁদের অভিযোগ, এক বছর আগে কিছু দুষ্কৃতী গণেশদের বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁরা পুকুরপাড়ে ঝুপড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সেখানেই গুলি করা হয় গণেশকে।
মহকুমাশাসক আর অর্জুন অনুপস্থিত থাকায় স্মারকলিপি নেন কাটোয়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কমল ভট্টাচার্য। সংগঠনের প্রতিনিধিদের তিনি জানান, মহকুমাশাসককে দাবিগুলি জানানো হবে। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। তদন্ত যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে ৯০ দিনের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে। তার পরে অভিযুক্তদের ‘কাস্টডি ট্রায়াল’ নেওয়া হবে।” |