পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রাবাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ওই দুর্ঘটনার পরে বর্ধমানের কাটোয়ায় ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ করেন মৃতের সহপাঠীরা। ছাত্রাবাসের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা মুকুল হালদার (১৯) কাটোয়ার ‘বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-র প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ দিন সকালে হস্টেলের ছাদে জামা শুকোতে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অনুমান, শর্ট-সার্কিটের জন্য ছাত্রাবাসের কিছু জায়গা বিদ্যুৎবাহী হয়ে পড়ায় এমন ঘটেছে। |
এর পরেই ওই কলেজের পড়ুয়ারা কাটোয়ার জাজিগ্রাম মোড়ে অবরোধ করেন। ফলে, কাটোয়া থেকে বর্ধমান, বহরমপুর ও সিউড়ি রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষকদের আটকে বিক্ষোভ শুরু হয় কলেজের গেটে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসের বিদ্যুৎ সংযোগে গোলমাল আছে। তিন দিন ধরে শর্ট-সার্কিট হচ্ছে। অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষালকে জানিয়েও সমস্যা মেটেনি বলে তাঁদের দাবি। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তবে কলেজের গেটে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
অধ্যক্ষ অবশ্য বলেন, “পরিকাঠামোর নানা উন্নয়ন হয়েছে। হস্টেলে শর্ট-সার্কিটের কথা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমন ঘটেছে।”
তবে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দাবি, এমন কোনও খবর তারা পায়নি। অভিযুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। |