স্থায়ীকরণ, মজুরি বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের তরফে মেলেনি আশ্বাস। এতে বিএসএনএলের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভাগীয় দফতর সহ একাধিক এক্সচেঞ্জের কাজকর্ম অচল করে আন্দোলনে নামলেন দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিএসএনএলের শতাধিক অস্থায়ী কর্মী রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের বিভাগীয় দফতর-সহ কালিয়াগঞ্জ, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর, ডালখোলা ও ইসলামপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের প্রশাসনিক কাজ বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। কর্মী ও আধিকারিকেরা ঢুকতে না পেরে ঘুরে যান। পুলিশি সহযোগিতায় এদিন দুপুরে বিএসএনএলের বিভাগীয় জেনারেল ম্যানেজার নিজের দফতরে ঢোকেন। অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের জেরে তিন সপ্তাহ ধরে দুই দিনাজপুরের মোবাইল, ল্যান্ডফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ উঠলেও এদিন এক্সচেঞ্জের প্রশাসনিক কাজ অচল হয়ে যাওয়ায় বহু গ্রাহক ফিরে যান বলে অভিযোগ। দুই জেলার ল্যান্ডফোন ও ইন্টারনেটের সংযোগ মেরামতির কাজও আটকে যায় বলেও অভিযোগ। |
গত পাঁচ অগস্ট বিএসএনএলের ১৫০ জন অস্থায়ী কর্মী দুই দিনাজপুরের বিভাগীয় দফতর-সহ বিভিন্ন টেলিফোন এক্সচেঞ্জে অনির্দিষ্ট কাল কর্মবিরতির ডাক দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারী অস্থায়ী কর্মীরা ১০ বছরেরও বেশি দুই দিনাজপুরের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে টেকনিক্যাল সার্ভিস বিভাগ-সহ অ্যাকাউস, লাইন মেরামত, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও সাফাইয়ের কাজে নিযুক্ত। বিএসএনএলের দুই দিনাজপুরে জেনারেল ম্যানেজার সোমনাথ ঘোষ বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের দাবিপূরণের এক্তিয়ার আমাদের নেই। তাঁদের দাবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।” এ দিন প্রশাসনিক কাজকর্ম অচল হয়ে যাওয়ায় বহু গ্রাহক সমস্যায় পড়েন।
দুই দিনাজপুরে বিএসএনএলের ১৬২ অস্থায়ী কর্মী ও ১৭৫ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। মোবাইল, ল্যান্ডফোন ও ইন্টারনেটের গ্রাহকের সংখ্যা সওয়া দুই লক্ষ। আইএনটিইউসি প্রভাবিত রায়গঞ্জ এসএসএ বিএসএনএল শিল্প সহায়ক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত ভদ্র ও যুগ্ম সম্পাদক কাজল সরকার এ দিন বলেন, “অস্থায়ী কর্মীরা মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকায় কাজ করছেন। আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। তিন সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই। কর্তৃপক্ষ যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ীকরণ-সহ মাসিক ১০হাজার টাকা মজুরি এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত দফতরের সমস্ত প্রশাসনিক কাজকর্ম অচল করে রাখা হবে।”
|