গঙ্গার জল চরম বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপরে উঠে জলের তোড়ে বৃহস্পতিবার মানিকচকের গোপালপুরের কাছে ষষ্ঠ রিটায়ার্ড বাঁধ ভেঙেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বাঁধ ভাঙায় কামলতিপুর, ইশ্বরটোলা, উত্তর হুকুমতটোলা গ্রামে এক হাজার পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। তিনটি জলবন্দি গ্রামের বেশ কিছু দুর্গতদের গোপালপুর হাইস্কুলের ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। গঙ্গার জলে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া ১ ও ২, মানিকচক, কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ৫০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। মনিকচক, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় জলবন্দি বানভাসিরা ত্রাণ পেলেও কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বেশিরভাগ জলবন্দি এলাকায় ত্রাণের ছিঁটেফোটা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ। কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারদেওনাপুর, শোভাপুর, বাঘরাবাদে বিশাল এলাকার বাড়িঘর-সহ কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। |
পারদেওনাপুর-শোভাপুর পঞ্চায়েত প্রধান মায়া সরকার বলেন, “এলাকার ৩০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। কেউ বাঁধের উপর, কেউ ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেরই ঘরে খাবার নেই। ত্রাণের হাহাকার দেখা দিয়েছে।” যদিও জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকাল কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে গিয়েছিলাম। ব্লকে ত্রাণ পৌঁচ্ছে দেওয়া হয়েছে। একটি এলাকা থেকে ত্রাণ বিলি করা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষে বন্যা কবলিত এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো ত্রাণ দেওয়া সম্ভব নয়। মানিকচকে দুর্গতদের রান্না খাবার বিলি হচ্ছে।”
গঙ্গার জলে তোড়ে গোপালপুরের কাছে ষষ্ঠ রিটায়ার্ড বাঁধ ভেঙে গিয়ে গঙ্গার জল সপ্তম রিটায়ার্ড বাঁধের দিকে ধেয়ে আসছে। দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার (গঙ্গা) অমরেশ কুমার সিংহ জানান, ১৯৯৯-২০০০ সালে ষষ্ঠ রিটায়ার্ড বাঁধটি তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই বাঁধটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এ দিন বাঁধটি ভেঙে গিয়েছে। এর ৮০০ মিটার দূরে সপ্তম রিটায়ার্ড বাধ রয়েছে। দুইদিন জলস্তর বাড়বে না বলে মনে হচ্ছে। রবিবার থেকে গঙ্গার জল ফের বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
|