বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার সল্টলেকে একটি গেষ্ট হাউস থেকে মালদহের আইনজীবী গৌতম চক্রবর্তী’র (৪৬) দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে মৃত আইনজীবীর মালদহের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী।
মৃত আইনজীবীর ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, মক্কেলদের টাকা জমা না দেওয়া সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আয়কর দফতর গত ১৪ অগষ্ট ইংরেজবাজার থানায় ডানায়। তার পর থেকেই গৌতমবাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেই অবসাদেই সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছেন। দু’দিন আগে একাই গৌতমবাবু কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সল্টেলেকের একটি গেষ্ট হাউসে উঠেছিলেন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, গত বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত গেষ্ট হাউসেই কলকাতার কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করেন। সবাই চলে যাওয়ার পর ওই গেষ্ট হাউসের কর্মচারীদের সকালে ডাকাডাকি না করার জন্য গৌতমবাবু বলেছিলেন। সকাল থেকে তাঁর পরিচিতরা তো বটেই স্ত্রীও তাঁকে টেলিফোন করে কোনও সাড়া পাননি। মৃতের কলকাতার দুইজন বন্ধু দুপুর দু’টা নাগাদ ওই গেষ্ট হাউসে ছুটে যান। পরে পুলিশ আসে। দেহটি উদ্ধার হয়। মক্কেলদের আয়করের টাকা আয়কর দফতরে সঠিকভাবে জমা না দেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ অগষ্ট ইংরেজবাজার থানায় আইনজীবী গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুলাই মালদহ আয়কর দফতরের বার অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক আয়কর বিভাগে লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন মালদহের কোনও আইনজীবী কিংবা কর্মী আয়কর দফতরকে ফাঁকি দিয়ে দফতরের প্রচুর টাকা আত্মসাত করছে। তিনি তাঁদের সনাক্ত করার অনুরোধ করেন। এর পরেই আয়কর দফতর তদন্তে নামে। গৌতমবাবুর দফতরে অভিযানও চালানো হয়। নানা অসঙ্গতি সামনে আসায় অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়। সেই সময় গৌতমবাবুর বক্তব্য ছিল, পেশাগত ঈর্ষা থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। |