সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু হয়েছে আগেই। সেটাকেই দৃষ্টান্ত মেনে কলকাতার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমও কম দামে রোগীদের জেনেরিক ওষুধ দিতে চাইছে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পূর্বাঞ্চলের প্রথম সারির ১৬টি বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এএইচইআই)-র অন্যতম সদস্য রূপক বরুয়া।
রূপকবাবু একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার। তাঁদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রূপালি বসুও জানান, বেসরকারি হাসপাতালেও যাতে অপেক্ষাকৃত কম দামে ওষুধ পাওয়া যায়, তার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে থাকলেও সর্বস্তরের চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে জেনেরিক ওষুধের গ্রহণযোগ্যতা কতটা হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা। রূপকবাবুর কথায়, বেসরকারি হাসপাতালে অনেক ভিজিটিং কনসালট্যান্ট থাকেন। তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জেনেরিক ওষুধে বিশ্বাস রাখেন না। হাসপাতালও তাঁদের উপরে জোর করতে পারে না। আবার প্রধানত উচ্চবিত্ত শ্রেণির কিছু রোগী দামি ব্র্যান্ডেড ওষুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে রাজি হন না। তাঁদের ধারণা, জেনেরিক ওষুধের মান খারাপ। রূপকবাবু বলেন, “এই ভ্রান্ত ধারণা দূর না-হওয়া পর্যন্ত ব্যাপক ভাবে জেনেরিক ওষুধ চালু করা মুশকিল। আশার কথা, মানসিকতা বদলানোর প্রক্রিয়া ধীরে হলেও চলছে।” এ দিনের অনুষ্ঠানে এএইচইআই-এর ওয়েবসাইটের উদ্বোধন হল। প্রশ্নোত্তর পর্বে রূপালিদেবী জানান, সংগঠনের বেশির ভাগ সদস্য হাসপাতালই এ রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ গড়তে আগ্রহী। ১৬ অগস্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দেশিকায় সরকার ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজ গড়তে আগ্রহীদের জন্য কিছু নিয়মের বলা হয়েছে। রূপালিদেবী বলেন, “সরকারের প্রস্তাব খুব সদর্থক। এই সংগঠনের প্রায় সব হাসপাতালই সরকারের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ গড়তে আগ্রহী।” অগ্নিকাণ্ডের পরে আমরির ঢাকুরিয়ার হাসপাতাল এখনও চালু হয়নি। এএইচইআই জানায়, দ্রুত হাসপাতালটি খুলতে সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তারা। |