মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্যেজাত শিশুচুরির অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার থানায় সারমান মণ্ডল নামে এক যুবক তাঁর সদ্যোজাত শিশুপুত্র চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই পুলিশ শিশু চুরির তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “২০ অগস্টের ঘটনা ২২ অগস্টে জানানো হয়েছে।” জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এই রকম অভিযোগের কথা শুনিনি। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” শিশু চুরির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মহম্মদ রসিদ। তিনি জানান, রিঙ্কি মণ্ডল নামের ওই প্রসূতি মৃত শিশু প্রসব করেছিলেন। অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি অনেকটা সময় আচ্ছন্ন ছিলেন। সেই কারণে তিনি হয়ত মৃত শিশুকে জীবিত বলে ভেবেছেন। হাসপাতাল থেকে কোনও শিশু চুরির ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ হাসপাতালে এসেছিল। পুলিশকে সব জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ চুরির অভিযোগ অস্বীকার করলেও প্রসূতি রিঙ্কি মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকদের দাবি, মৃত বাচ্চাকে দেখিয়ে জীবিত শিশুকে চুরি করা হয়েছে। ১৯ অগস্ট সকালে রতুয়ার কাহাল পঞ্চায়েতে বিনপাড়ার রিঙ্কি মন্ডলকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২০ অগস্ট দুপুর দেড়টা নাগাদ রিঙ্কিদেবীকে সিজার করা হয়। রিঙ্কি মন্ডল বলেন, “সন্তান হওয়ার পর নার্স ও আয়ারা বলে, ছেলে হয়েছে। সুস্থ আছে। তিন ঘন্টার পর আমাকে জানানো হয়, মৃত কন্যা শিশু হয়েছে। আমি নিজে আমার জীবিত ছেলেকে দেখলাম। সেই শিশু কি করে মেয়ে হল আর মারা গেল বুঝছি না।” প্রসূতির মা গুলিয়া বিবি বলেন, “এক জন আয়া বলে মাসিমা আপনি দিদিমা হয়েছেন। আপনার নাতি হয়েছে। পরে এক জন আয়া বলল, আপনার মেয়ে মৃত মেয়ে প্রসব করেছে।” প্রসূতির স্বামী সারমান বলেন, “নালিশ জানাতে গেলে কিছু লোক হুমকি দেয়। ভয়ে সে দিন থানায় জানাতে পারিনি। আজকে ইংরেজবাজারে অভিযোগ করেছি।” |